![]() |
জাকির হোসেনকে নিয়ে আসা হচ্ছে হাসপাতালে |
আজ খবর (বাংলা), জঙ্গীপুর, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ১৭/০২/২০২১ : কলকাতায় আসার পথে বোমার আঘাতে আক্রান্ত হলেন রাজ্যের শ্রম দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। তাঁকে জঙ্গীপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় এখন তাঁকে কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে।
আগামীকাল কলকাতায় নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মীসভা আছে।. সেই বৈঠকে যোগ দিতে আসছিলেন বিধায়ক তথা মন্ত্রী জাকির হোসেন। কিছুক্ষণ আগে তিনি নিজেরে গাড়িতে করে নিমতিতা এসে পৌঁছেছিলেন। তাঁর পরনে ছিল সাদা শার্ট ও বাদামি রঙের কোট।. তাঁর অনুগামীরা 'জাকির হোসেন জিন্দাবাদ' স্লোগান দিতে দিতে তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস ট্রেন ধরার জন্যে ২ নম্বর প্ল্যাটফরম ধরে আসছিলেন।
ঠিক সেই মুহূর্তে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে নিমতিতা স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ওপরেই। বিস্ফোরণ হতেই গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। বোমার আঘাতে জখম হয়ে জাকির হোসেন লুটিয়ে পড়েন মাটিতে, সেইসাথে তাঁর সঙ্গীসাথীরাও মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন চার বা পাঁচ দুষ্কৃতী মন্ত্রীকে লক্ষপ করেই বোমা নিক্ষেপ করেছিল, মন্ত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য ছিল তাদের। গুরুতর জখম রক্তাক্ত অবস্থায় মন্ত্রী জাকির হোসেনকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গীপুর হাসপাতালে।
দেখা যায় জাকির হোসেনের পায়েই মূল আঘাত লেগেছে, বিশেষ করে বাম পায়ে। তাঁর হাতেও ছিল আঘাতের চিহ্ন। শরীরের অন্যান্য জায়গাতেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। দ্রুত ডাক্তাররা জাকিরবাবুর চিকিৎসা শুরু করে দেন,. তাঁর অবস্থার কিছুটা অবনতি হাওয়ায় প্রথমে তাঁকে বহরমপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করা হলেও শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে সড়কপথে। নিমতিতা স্টেশনে জাকিরবাবুর সঙ্গে থাকা অনুগামীদের মধ্যে অন্তত ১৫ জন এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। জঙ্গীপুর হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে জাকির হোসেনের পায়ে ১৪টি সেলাই পড়েছে। তিনি কার্যত ট্রমার মধ্যে রয়েছেন।
এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, জাকির হোসেনের মত একজন জনপ্রিয় বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রীকে এভাবে কে বা করা আক্রমন করল ? কেননা কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা স্পকষ্টভাবে স্বীকার করেছেন, জাকির হোসেন নিজে একজন অত্যন্ত সৎ মানুষ ছিলেন এবং তিনি একজন শিল্পপতিও ছিলেন। এভাবে তাঁর ওপর আক্রমনের ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। কংগ্রেস নেতারা একযোগে দাবী করেছেন এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তৃণমূলের ভয়ঙ্কর গোষ্ঠী কোন্দল। জাকির হোসেনের জনপ্রিয়তা অনেকেই সহ্য করতে পারছিলেন না মুর্শিদাবাদ জেলায়।গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।