আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ১৩.০২/২০২১ : ভারত চীন লাদাখ সীমান্ত নিয়ে ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে, তাই পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করল প্রতিরক্ষা দপ্তর।
সম্প্রতি প্যাংগং হ্রদের কাছ থেকে চলা সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ফলাও করে যে ভুল ও বিভ্রান্তমূলক তথ্য প্রচার করা হচ্ছে তা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নজরে এসেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আগেই জানিয়েছে যে সংসদের উভয় কক্ষে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে ইতিমধ্যে প্রকৃত অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
যাইহোক, সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ভুল বোঝানো যায় এমন তথ্য প্রসারের বিরুদ্ধে সুস্পষ্টভাবে এবং নির্দিষ্ট উদাহরণ তুলে ধরে পাল্টা প্রচারের প্রয়োজন ।
দেশের মানচিত্রে ভারতের ভূখণ্ডকেই তুলে ধরা হয়েছে এবং ১৯৬২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত চীন অবৈধ ভাবে ৪৩,০০০ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি অঞ্চল দখল করে রয়েছে।
এমনকি ভারতের ধারণা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) ফিঙ্গার ৮ এ রয়েছে, ফিঙ্গার ৪ এ নয়। এজন্যই বর্তমানে চীনের সঙ্গে বোঝাপড়া সহ ভারত ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত টহল দেওয়ার অধিকারকে অবিচ্ছিন্নভাবে বজায় রেখেছে।
প্যাংগং হ্রদের উত্তর তীরে উভয় দেশের দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী পোস্ট বা ছাউনি সুপ্রতিষ্ঠিত রয়েছে । ভারতের ফিঙ্গার ৩ এর কাছে ধন সিংহ থাপা ছাউনি এবং ফিঙ্গার ৮ এর পূর্বে চীনা ছাউনি রয়েছে। উভয় পক্ষ চুক্তি অনুযায়ী অগ্রবর্তী স্থানে সেনা মোতায়েন বন্ধ রাখতে সহমত হয়েছে।
তবে এই চুক্তি অনুযায়ী ভারত কোনও অঞ্চল ছেড়ে দিতে সম্মত হয় নি। বরং, এই চুক্তি অনুসারে যে কোনও একতরফা গতিবিধি রোধ করে ভারত এলএসি-এতে কার্যকলাপ জোরদার করেছে এবং স্থিতাবস্থা বজায় রেখেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তার বক্তব্যে হট স্প্রিংস, গোগড়া এবং দেপসাং সহ অন্যান্য সমস্যাগুলি সমাধান করার কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। প্যাংগং হ্রদের কাছ থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয় সমাপ্ত হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এই অসামান্য বিষয়গুলি সম্পন্ন হয়।
পূর্ব লাদাখ সেক্টরে আমাদের জাতীয় স্বার্থ এবং ভূখণ্ডের কার্যকরী সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে, কারণ সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সক্ষমতার পূর্ণ আস্থা ফিরিয়ে দিয়েছে সরকার। যারা আমাদের সেনা কর্মীদের আত্মত্যাগের জেরে সম্ভাব্য সাফল্যকে সন্দেহ করছে, তারা আসলে তাদের অসম্মান করছে।
Loading...