আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী,, ভারত, ১০/০২/২০২১ : ভারতের আর্থিক বিকাশ এবং দেশ গঠনের কাজে কৃষি ক্ষেত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০২২ সালের মধ্যে দেশে কৃষি পণ্য রপ্তানীর পরিমাণ দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে ৮৬ শতাংশই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি। এদের উন্নত প্রযুক্তি, মূলধন, বাজারের সুবিধা সহ বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তার প্রয়োজন।
ক্ষুদ্র ও ভূমিহীন চাষিদের একত্রিত করে কৃষিপণ্য উৎপাদক সংগঠন কৃষকদের আর্থিক শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং তারা বাজারের সুবিধা পাবে। এই কারণে কেন্দ্র ১০ হাজার কৃষিপণ্য উৎপাদক সংগঠন (এফপিও) তৈরি করে সেগুলি পরিচালনের কাজে সাহায্য করতে উদ্যোগী হয়েছে। বাজেটে এই উদ্যোগকে সহায়তার জন্য ৬৮৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
কৃষিপণ্য উৎপাদক সংগঠনগুলি ক্লাস্টার গঠন করে ফসল ফলাবে। এক দেশ এক পণ্য ক্লাস্টারের মধ্য দিয়ে ফসল উৎপাদন করে সেই ফসল খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের পর বাজারজাত করা, ব্র্যান্ডিং ও রপ্তানীতে উৎসাহিত করা হবে। এছাড়াও এফপিও-র মাধ্যমে কৃষি ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ বাজারের সুযোগ সংগঠনের সদস্যরা পাবেন।
সরকার এফপিও গঠনের কাজে এসএফএসি, এনসিডিসি, নাবার্ড, নাফেড, নেরাম্যাক, টিএন-এসএফএসি, এসএফএসিএইচ, ডাব্লুডিবি এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের এফডিআরভিসি-র মাধ্যমে এই সংস্থাগুলিকে গড়ে তুলবে।
যে সংস্থাগুলিকে ক্লাস্টার ভিত্তিক বাণিজ্যিক সংগঠন গড়ে তোলার সাহায্য করা হয়েছে সেগুলি এফপিওগুলিকে সাহায্য করবে।
২০২০-২১ অর্থবর্ষে ২ হাজার ২০০ এফপিও উৎপাদনকারী ক্লাস্টারকে সাহায্য করা হবে। এরমধ্যে ১০০টি সংস্থা জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত ফসল ফলাবে। আরও ১০০টি সংস্থা তৈলবীজের মতো শস্য উৎপাদন করবে। এফপিওগুলির জন্য ১৮ লক্ষ টাকা তিন বছর ধরে দেওয়া হবে। এ ছাড়াও সংগঠনের প্রত্যেক কৃষককে ২ হাজার টাকা অর্থ সাহায্য করা হবে। জেলাস্তরে জেলা কালেক্টর বা জেলা পরিষদের সভাধিপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি এই প্রক্রিয়ার নজরদারি চালাবে। জাতীয় স্তরে ন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি নজরদারির কাজ করবে। আত্মনির্ভর কৃষিতে রূপান্তরিত করতে এফপিও সহায়ক হবে। এই ব্যবস্থায় কৃষি পণ্য উৎপাদনের ব্যয় কমবে, উৎপাদকের ক্ষমতা বাড়বে౼ যার মধ্য দিয়ে কৃষকরা আত্মনির্ভর হয়ে উঠবেন। এফপিও তৈরি দেশের গ্রামাঞ্চলের যুব সম্প্রদায়কে কর্মসংস্থানের সুযোগ এনে দেবে এবং গ্রামের অর্থনীতির উন্নতি হবে।