আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ৩০/০১/২০২১ : গতকাল নতুন দিল্লীর এপিজে আবদুল কলাম রোডে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে যে আইইডি বিস্ফোরণ হয়েছিল, তাই নিয়ে জোরদার .তদন্ত শুরু করেছে দিল্লী পুলিশ।
ইজরায়েলি দূতাবাস এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজগুলি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইজরায়েলি দূতাবাসের উল্টোদিকে জিন্দাল হাউসের সিসিটিভি ক্যামেরা খারাপ আছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই ক্যামেরা কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ করে দিয়েছে কিনা সেটা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তবে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে একটি গাড়ি ওই দূতাবাসের সামনে দুজন লোককে নামিয়ে দিয়েছিল। ওই গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে যে দুজনকে ওখানে গাড়ি থেকে নামানো হয়েছিল, তারাই বিস্ফোরণকাণ্ডে যুক্ত আছে কিনা তা এখনো জোর দিয়ে বলতে পারে নি দিল্লী পুলিশ।
যে দুজনকে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে গাড়ি থেকে নামানো হয়েছিল, তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে পুলিশ। গাড়ি চালককেও এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ হচ্ছে। সন্দেহভাজন ওই দুই ব্যক্তির স্কেচ তৈরি করা হচ্ছে। ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে যে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, তাকে নিম্নমানের বিস্ফোরণ আখ্যা দেওয়া হলেও, সেই বিস্ফোরণে এমোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে, যার ফলে বিস্ফোরণস্থলে বেশ কিছুটা গর্ত তৈরি হয়েছে।
বিস্ফোরণস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি আধপোড়া গোলাপি ওড়নার অংশ পাওয়া গিয়েছে, যা ভাবাচ্ছে পুলিশকে। এছাড়াও একটি খাম পাওয়া গিয়েছে যাতে ইজরায়েলের দূতাবাসের ঠিকানা লেখা ছিল। পুলিশ খতিয়ে দেখছে এই বিস্ফোরণের সাথে ইরানের কোনো জঙ্গী সংগঠনের হাত আছে কিনা ! ইজরায়েলি দুইতাবাসের সামনে ঠিক যে জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, সেখানেই ঝোপের আড়াল থেকে পুলিশ একটি গোপন ক্যামেরা উদ্ধার করেছে, যে ক্যামেরায় তোলা ছবি অত্যন্ত অস্পষ্ট; কিন্তু সেই ছবি সম্ভবত ১৯৭০ সালে তোলা হয়েছিল, ছবিতে ওই সময়কার টাইমস্যাম্প দেখা গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা প্রত্যেকটি নমুনার ফিঙ্গার প্রিন্ট সংরক্ষণ এবং পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে বিস্ফারণের গোটা ঘটনাটি বেশ রহস্যজনক হয়ে উঠেছে।
নিউজ আপডেট : দিল্লীতে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বোমা বিস্ফোরণের দায় আজ স্বীকার করেছে জৈশ উল হিন্দ নামে একটি জঙ্গী সংগঠন বলে জানতে পারা যাচ্ছে।