ভারতে কোভিড ১৯ প্রতিষেধকের গাইডলাইন্স ঘোষণা করা হল - আজ খবর । দেখছি যা লিখছি তাই । ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম

Sonar Tori


ভারতে কোভিড ১৯ প্রতিষেধকের গাইডলাইন্স ঘোষণা করা হল

Share This


আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ১২/০১/২০২১ : এই প্রথমবার দেশে কোভিড-১৯ এর টিকা উদ্ভাবন ও তা চালু করা হয়েছে। আজ কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এই টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে বেশ কিছু গাইডলাইন্স দেওয়া হয়েছে। সেই গাইডলাইন্সগুলি হল -  

• এই টিকা আপনাকে, আপনার পরিবার এবং অন্যান্যদের করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখবে।
• এই টিকা করোনা ভাইরাস জনিত অসুখ-বিসুখের মোকাবিলায় প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলবে এবং কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি কমাবে।
• এই টিকা ইঞ্জেকশন হিসেবে প্রয়োগ করা হয়।
• এই টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং এর কার্যকারিতা সুনিশ্চিত করতে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছে এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার পর  তা উদ্ভাবন করা হয়েছে।
• টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে কোভিড আদর্শ আচরণ সহ অন্যান্য সুরক্ষা বিধিগুলি মেনে চলতে হবে। যারা টিকা দেবেন তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং তারাও কোভিড আদর্শ আচরণবিধি মেনে চলবেন।
• যারা টিকা দেবেন তারা প্রত্যেকেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং কোভিড আদর্শ আচরণ সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন। আপনি যদি একজন স্বাস্থ্যকর্মী অথবা স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাহলে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত করান।
• একবার আপনার নাম নথিভুক্ত হয়ে গেলে আপনি আপনার বাড়ির কাছে টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। এসএমএস মারফত আপনার নথিভুক্ত মোবাইল নম্বরে টিকাকরণের তারিখ, সময় এবং কেন্দ্র সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হবে।
• আপনি যদি স্বাস্থ্যকর্মী অথবা স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাহলে টিকা নেওয়ার জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা যা কো-উইন প্ল্যাটফর্ম নামে পরিচিত সেখানে নাম নথিভুক্ত করান।
• আপনি যদি অগ্রভাগে থাকা কর্মী (পুলিশ, হোমগার্ড, পুরকর্মী, সেনা জওয়ান) হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত শ্রেণীর মানুষ হিসেবে প্রথম পর্যায়েই টিকা পাবেন।
• এই টিকা সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র অথবা সুনির্দিষ্ট টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে বিনামূল্যে দেওয়া হবে।

টিকাকরণে অগ্রাধিকার
• যাদের কোভিড-১৯-এর টিকা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি সরকার তাদেরকেই আগে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। অবশ্য টিকাকরণের প্রাথমিক পর্যায়ে সীমিত সংখ্যায় যোগানের দরুণ সার্বিক টিকাকরণের ক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগতে পারে। তাই কিছু মানুষকে টিকা নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে।
• প্রাথমিক পর্যায়ে সীমিত সংখ্যক টিকা সরবরাহের দরুণ প্রথমেই সেই সমস্ত ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে যাদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি অথবা সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি তাদেরকে।
• আপনি যদি রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মী, পুরকর্মী অথবা অগ্রভাগে থাকা কর্মী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি সেই সমস্ত ব্যক্তির তালিকায় থাকবেন যাদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিত ৫০ বছরের বেশি অথবা ৫০ বছরের কম কিন্তু অন্যান্য উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের প্রথম পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে।
• কো-উইন প্ল্যাটফর্মে কেবল নথিভুক্ত সুফলভোগীদের টিকাকরণ করা হবে। তাই সমস্ত সুফলভোগীকে অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। টিকাকরণ কেন্দ্রে তক্ষণাৎ নাম নথিভুক্তিকরণের কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই কেবল নথিভুক্ত সুফলভোগীরাই টিকা পাবেন।
• কেন্দ্রীয় সরকার পর্যায়ক্রমে টিকাকরণের বিষয়ে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত শ্রেণীর মানুষকে উন্নীত করেছে। উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে এমন শ্রেণীর মানুষকে টিকার যোগানের ভিত্তিতে শুরুতেই টিকাকরণের পরিকল্পনা রয়েছে।
• অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত শ্রেণীর মানুষের মধ্যে রয়েছেন : ১) স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মী, ২) অগ্রভাগে থাকা কর্মী, ৩) ৫০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি, ৪) ৫০ বছরের কম বয়সী ব্যক্তি কিন্তু যাদের অন্যান্য উপসর্গ রয়েছে।
• আপনি এটা জানেন যে স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মী এবং অগ্রভাগে থাকা কর্মীদের ঝুঁকির সম্ভাবনা বেশি এবং এরাই সবথেকে বেশি সুরক্ষিত।

টিকা সম্পর্কে দ্বিধা
• জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে টিকা প্রাণ রক্ষা করতে পারে।
• জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে টিকাকরণের ব্যাপক সফলতা রয়েছে।
• টিকা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায় আমাদের সুরক্ষিত রাখে। এমনকি সংস্পর্শ থেকে ছড়িয়ে পড়া অসুখ-বিসুখ নিয়ন্ত্রণ করে।
• কোভিড-১৯এর  টিকা নেওয়া আমাদের সকলের জন্যই জরুরি। তাই যখন সময় আসবে তখন আমরাও যেন আমাদের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও অন্যান্যদের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারি।
• টিকাকরণ প্রক্রিয়া হবে পর্যায়ক্রমিক : তাই আমাদের সবসময় কোভিড আদর্শ আচরণবিধি মেনে চলা উচিত।
• পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা ও বিশ্লেষণের পর কোভিড-১৯ টিকার উদ্ভাবন হয়েছে, একাধিক পর্যায়ে কার্যকারিতা যাচাইয়ের পর টিকা মানবদেহে প্রয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মানবদেহে প্রয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট টিকাকে নিরাপদ ঘোষণার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
• এটা সত্য যে কোভিড-১৯ টিকা অতি অল্প সময়ের মধ্যেই উদ্ভাবন করা হয়েছে। কিন্তু একাধিক পর্যায়ে এই টিকার গুণমান যাচাই হয়েছে। বৈজ্ঞানিক রীতিনীতি ও বিভিন্ন মাপকাঠি যাচাইয়ের পর তা প্রয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে যাবতীয় সুরক্ষাবিধি অনুসরণ করা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের টিকাকরণের ক্ষেত্রে সুরক্ষার দিক থেকে কোনও আপোস করা হয়নি।
• এই টিকার কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা যাচাই করে দেখা হয়েছে, সমস্ত বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে টিকাকরণের ব্যাপারে অনুমোদন পাওয়া গেছে।
• টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে কোভিড আদর্শ আচরণ সহ যাবতীয় সুরক্ষামূলক বিধি মেনে চলা হবে।
• টিকার সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রোটোকল সম্পর্কে টিকাদানকারীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং তারাও কোভিড আদর্শ আচরণবিধি মেনে চলবেন।

টিকাকরণের সময় এবং তারপর কোভিড আদর্শ আচরণ অনুসরণ
• প্রথম পর্যায়ে যেহেতু কিছু মানুষকে টিকা দেওয়া হবে তাই আমাদের সকলের সুরক্ষিত থাকার জন্য কোভিড আদর্শ আচরণ মেনে চলা জরুরি।
• টিকা যেমন আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে সুরক্ষা দেবে তাই এটাও সুনিশ্চিত করতে হবে যে কোভিড আদর্শ আচরণগুলিও যাতে মেনে চলা হয়- মাস্কের ব্যবহার, সাবান ও স্যানিটাইজার দিয়ে বারবার হাত পরিষ্কার রাখা এবং ৬ ফুট (দুই গজ) দৈহিক ব্যবধান বজায় রাখা।
• আমাদের যেকোন কোভিড-১৯ উপসর্গ সম্পর্কে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে এবং প্রয়োজনে অবিলম্বে নিজেদের পৃথকভাবে থাকতে হবে। এমনকি আমরা যদি কোনোরকম উপসর্গ দেখতে পাই তাহলে দ্রুত নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে।
• কোভিড আদর্শ আচরণবিধি সর্বদাই মেনে চলতে হবে এবং সেইসঙ্গে টিকাকরণের সময় এবং তারপরও আদর্শ আচরণগুলি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
• যতদিন পর্যন্ত না এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা এবং যথাযথ সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের সকলকে কোভিড আদর্শ আচরণবিধি মেনে চলতে হবে।

  

Loading...

Amazon

https://www.amazon.in/Redmi-8A-Dual-Blue-Storage/dp/B07WPVLKPW/ref=sr_1_1?crid=23HR3ULVWSF0N&dchild=1&keywords=mobile+under+10000&qid=1597050765&sprefix=mobile%2Caps%2C895&sr=8-1

Pages