রাজ্যের মহিলা হোমগুলির পরিবেশ নরকের মত : লকেট চ্যাটার্জি - আজ খবর । দেখছি যা লিখছি তাই । ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম

Sonar Tori


রাজ্যের মহিলা হোমগুলির পরিবেশ নরকের মত : লকেট চ্যাটার্জি

Share This
রাজ্যের মহিলা হোমগুলির পরিবেশ নরকের মত : লকেট চ্যাটার্জি
লকেট চ্যাটার্জি ও অগ্নিমিত্রা পল 


আজ খবর (বাংলা), কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ১১/০১/২০২১ : পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের রাখার জন্যে যে হোমগুলি রয়েছে, সেগুলির চূড়ান্ত অব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হলেন হুগলির সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পকেও তিনি রাজ্য সরকারের ভাঁওতা বলে আখ্যা দিলেন।

লকেট চ্যাটার্জি এদিন সাংবাদিকদের বলেন, "কিছুদিন আগে নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে আমরা পুরুলিয়ার একটি হোম পরিদর্শনে গিয়েছিলাম, আমরা শুনেছিলাম সেখানে প্রতিদিন বহিরাগত পুরুষদের নিয়ে আসা হয়, যারা ওই হোমে থাকা মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতন চালাত এবং অশালীন আচরণ করত। অভিযোগ পেয়ে আমরা এবং মহিলা মোর্চার কর্মীরা যখন সেই হোমে যাই, তার আগেই সেখানকার সুপারকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। নতুন সুপার বলছেন আমি কিছু জানি না, নতুন এসেছি। আমাদেরকে পুলিশ দিয়ে আটকানো হয়েছে অথচ আমাদের সঙ্গে ছিলেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময়সিং মাহাতো, তাছাড়া আমি নিজে একজন সাংসদ। অনেক বোঝানোর পরেও আমাদের পুলিশ ভিতরে ঢুকতে দেয় নি। ওই এলাকার সাধারণ মানুষ জানিয়েছে, রাতের অন্ধকরে হোমের  মেয়েদেরকে এম্বুলেন্স করে কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হোমের দুই মহিলাকে অজ্ঞাতস্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যারা অভিযোগ জানিয়েছিল। তারা কোথায় আছে, কেমন আছে আমরা এখনো পর্যন্ত কিচ্ছু জানতে পারিনি।এই হল পুরুলিয়া হোমের  অবস্থা।"

লকেট চ্যাটার্জি বলেন, "এর চেয়েও নারকীয় অবস্থা হয়ে রয়েছে লিলুয়া হোমে।. সেখানেও আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয় নি। তবে এর মধ্যেই হাইকোর্টের এক মাননীয় বিচারপতি নিজেই সারপ্রাইজ ভিজিট করেন লিলুয়ার হোমটিতে। তিনি বলেছেন, একটি ঘরের মধ্যে সেখানে ৪৬ জন মহিলাকে গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে। ওই মহিলারা অপুষ্টিতে ভুগছেন,  তাঁরা এতটাই অসুস্থ যে উঠে বসার ক্ষমতাও নেই। তাঁদের কাছে আব্রু রক্ষা করার ন্যূনতম কাপড়ের অভাব রয়েছে। তাঁরা যে শৌচালয় ব্যবহার করেন তার দরজা নেই। হোমের  সিসিটিভি ক্যামেরার কোনো রক্ষণাবেক্ষণ নেই। খাওয়া দাওয়াও অত্যন্ত নিম্নমানের। এই হচ্ছে রাজ্যের হোমগুলির অবস্থা। তাহলে প্রতি বছর কেন্দ্র সরকার হোমগুলি পরিচালনার জন্যে যে টাকা পাঠায়, সেই টাকা কোথায় যায় ?"

লকেট চ্যাটার্জি স্বাস্থ্যসাথী প্রকপ নিয়ে বলেন, "রাজ্য সরকার যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিয়েছে সেটি সম্পূর্ণ ভাঁওতা ছাড়া আর কিছুই নয়। পরিবার পিছু একটা করে কার্ড দেওয়া হচ্ছে। সেই কার্ডে ডাক্তারের ফিজ ধরা নেই। বেশিরভাগ হাসপাতাল বলছে এই রোগের এখানে চিকিৎসা হয় না, এই বলে রোগীকে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। রোগী এবং তাঁর পরিবারকে হয়রান করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে হয়ত রোগী মারাও যাচ্ছেন। আসলে ভোটের মুখে ২ ব  ৩ মাসের জন্যে এটা একটা ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছু নয়। এর থেকে কেন্দ্রের আয়ুস্মান ভারত প্রকল্প অনেক ভাল। দেশের যে কোন হাসপাতালে সেই প্রকল্পে চিকিৎসা করানো  যায়। মানুষকে হয়রান হতে হয় না।"

Loading...

Amazon

https://www.amazon.in/Redmi-8A-Dual-Blue-Storage/dp/B07WPVLKPW/ref=sr_1_1?crid=23HR3ULVWSF0N&dchild=1&keywords=mobile+under+10000&qid=1597050765&sprefix=mobile%2Caps%2C895&sr=8-1

Pages