ক্ষুব্ধ মমতা বক্তব্য রাখলেন না, তাঁর প্রতিবাদ সামনে থেকে দেখলেন মোদী - আজ খবর । দেখছি যা লিখছি তাই । ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম

Sonar Tori


ক্ষুব্ধ মমতা বক্তব্য রাখলেন না, তাঁর প্রতিবাদ সামনে থেকে দেখলেন মোদী

Share This

ক্ষুব্ধ মমতা বক্তব্য রাখলেন না, তাঁর প্রতিবাদ সামনে থেকে দেখলেন


আজ খবর (বাংলা) কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ২৩/০১/২০২১ : পূর্ব অনুষ্ঠানসূচী মতোই আজ কলকাতায় এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নেতাজির ১২৫তম জন্মজয়ন্তী পালন করতে প্রথমে গেলেন নেতাজির বাসভবনে, তারপর ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে, এবং শেষে ভিকটোরিয়া মেমোরিয়াল হলে. সেখান থেকেই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন তিনি। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানের সুর কাটল ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য রাখা থেকে বিরত থাকায়।  মমতা যখন মঞ্চে উঠছেন, ঠিক তখনি কেউ কেউ চিৎকার করে বলে উঠে বললেন, "জয় শ্রীরাম"। এতেই ক্ষুব্ধ মমতা মঞ্চে উঠে জানিয়ে দিলেন তিনি বক্তব্য রাখবেন না। 

মঞ্চে উঠে মমতা বলেন, "কাউকে আমন্ত্রণ করে অসম্মান করাটা ঠিক নয়। আমার তো মনে হচ্ছে, এটা একটা রাজনৈতিক সভা। কিন্তু তা তো আদৌ নয় ! এটা সাধারণ মানুষের সভা ! আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই অনুষ্ঠান কলকাতায় করার জন্যে। আমাকে এখানে আমন্ত্রণ জানিয়েও অসম্মান করার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি আর একটা কথাও বলব না। জয় হিন্দ, জয় বাংলা।" এই কথাগুলি বলে মঞ্চ থেকে নেমে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


এরপর নরেন্দ্র মোদী বক্তব্য রাখতে ওঠেন মঞ্চে। মোদী বলেন, "আজ কলকাতায় আসা আমার কাছে অদ্ভুত এবং ভাবুক করা অবস্থা তৈরি করেছে। নেতাজির নাম আমি ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি, আর যত বার শুনেছি ততবার আমার মন উতলা হয়েছে। আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। তাঁর নাম কানে এলেই আমার মনে তোলপাড় শুরু হয়ে যেত।  নেতাজিকে আমার শত কোটি প্রণাম। তাঁকে যিনি জন্ম দিয়েছিলেন, তাঁর সেই জননী প্রভাদেবীকেও আমার প্রণাম।"

মোদী বলেন, "ভারতমাতার কোলে আজ থেকে ১২৫ বছর আগে এক সুসন্তানের জন্ম হয়েছিল। সেদিন শুধু নেতাজি নয়, জন্ম হয়েছিল ভারতের আত্মগৌরবের। নেতাজির বক্তব্য ছিল, 'আমি স্বাধীনতা ভিক্ষা চাই না, আমি স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনব'। নেতাজি ছিলেন সকল মনের প্রেরণা। এখন থেকে নেতাজি জয়ন্তীর নামকরণ করা হল 'পরাক্রম দিবস' হিসেবে। দেশের প্রত্যেক কোনায় আজকের দিনটিকে সগৌরবে পালন করা হচ্ছে। আমরা আজ তাঁর নামে স্মারক মুদ্রা এবং ডাকটিকিট প্রকাশ করেছি। হাওড়া থেকে কালকা যাওয়ার ট্রেনের নাম বদলে নাম দিয়েছি নেতাজি এক্সপ্রেস।"

প্রধানমন্ত্রী বলেন, "পরাধীনতার সেই সময় নেতাজি  বিদেশে গিয়ে নিজস্ব বাহিনী তৈরি করেছিলেন, যাকে আমরা 'আজাদ হিন্দ বাহিনী' বলে চিনি। তাঁর কাছে কোনো কিছুই যেন অসম্ভব ছিল না। নারী শক্তিকে সন্মান দিয়ে তিনি ঝাঁসি রাণী বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন। যে আন্দামানে ইংরেজরা ভারতীয়দের শাস্তি দিত, অত্যাচার করত, সেই আন্দামানে নিজের বাহিনীকে নিয়ে তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। আজাদ হিন্দ বাহিনীর যে বীর যোদ্ধারা আজ এই সভায় উপস্থিত আছেন আমি তাঁদেরকে প্রণাম জানাচ্ছি। নেতাজি সারাজীবন যা কিছু করেছিলেন, তা শুধু আমাদের জন্যেই করেছিলেন। তিনি শুধু চেয়েছিলেন দেশ স্বাধীন হোক। দেশের প্রত্যেক মানুষ তাঁর কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবেন।"

নরেন্দ্র মোদী বলেন, "আজ ভারত অনেক শক্তিশালী। ভারত এখন আত্ম নির্ভরতার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র বানাচ্ছে, তেজসের মত যুদ্ধ বিমান বানাচ্ছে আবার ভ্যাকসিন বানিয়ে অন্য্ দেশগুলিকেও সাহায্য করছে। নেতাজি এখন যে রূপেই থাকুন না কেন, এই সব দেখে নিশ্চয়ই তিনি আমাদের আশীর্ব্বাদ করছেন। আজ তিনি এই সব দেখে নিশ্চয়ই খুব খুশী হতেন। তাঁকে নিয়ে বলতে শুরু করলে অনেক রাত কেটে যাবে। তিনি আত্মনির্ভর ভারতের পাশাপাশি সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমাদের এবার সোনার বাংলা গড়তে হবে। যতদিন না তা হয়, ততদিন আমাদের থামলে চলবে না।"


Loading...

Amazon

https://www.amazon.in/Redmi-8A-Dual-Blue-Storage/dp/B07WPVLKPW/ref=sr_1_1?crid=23HR3ULVWSF0N&dchild=1&keywords=mobile+under+10000&qid=1597050765&sprefix=mobile%2Caps%2C895&sr=8-1

Pages