আজ খবর (,বাংলা) হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ০৫/০১/২০২১ : এবার মন্ত্রীত্ব ছাড়তে চেয়ে দলকে চিঠি দিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষী রতন শুক্লা। জেলা সভাপতির পদও ছাড়তে চাইলেন তিনি।
আজ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের প্যাডে লিখে মন্ত্রীসভা থেকে অব্যাহতি চেয়ে চিঠি পাঠালেন লক্ষীরতন শুক্লা। সেই সঙ্গে জেলা সভাপতির দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ব্যাপারে বলেছেন, "লক্ষী খুব ভাল ছেলে। ও জানিয়েছে, ও এখন থেকে খেলার দিকে বেশি মনোযোগ দিতে চায়। চলতি বিধানসভা অধিবেশনে ও থাকবে, কিন্তু তার পরেই ও ইস্তফা দিয়ে চলে যাবে। লক্ষী রাজনীতি থেকেই অবসর নিতে চলেছে বলে জানিয়েছে। এর মধ্যে আর অন্য কোনো বিষয় নেই। ওর সাথে আমাদের কোনোরকম ভুল বোঝাবুঝি নেই। আমি রাজ্যপালকে ওর ইস্তফা গ্রহণ করতে অনুরোধ করব।"
লক্ষী রতন শুক্লার হঠাৎ এভাবে মন্ত্রীত্ব এবং জেলা সভাপতির পদ ছেড়ে দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেছেন, "সমস্ত সুবিধা ভোগ করে, লাল বাতি গাড়িতে করে ঘুরে বেরিয়ে এখন এভাবে ভোটের মুখে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে চলে গিয়ে লক্ষী ঠিক কাজ করেন নি।" তৃণমূল নেতা সৌগত রায় বলেছেন, "লক্ষীর কিসের এত সমস্যা হচ্ছিল, কিসের জন্যে তাঁর ক্ষোভ হচ্ছিল জানি না।"
বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেছেন, "লক্ষী যথেষ্ট ভাল খেলোয়াড়। তিনি যদি খেলায় মন দিতে চান, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার।. তবে তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা তা আমার জানা নেই। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, "একসময় তৃণমূল ঘর ভাঙানোর খেলায় মেতেছিল, এখন শুধুমাত্র ওদেরই ঘর ভাঙছে।"
আর কয়েকমাস পরেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই মন্ত্রীত্ব এবং জেলা সভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইলেন লক্ষী রতন শুক্লা। তাঁকে দলের সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে তৃণমূল সূত্রে। কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, লক্ষীরতন শুক্লা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে। অন্য্ সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেলেও লক্ষী রতন শুক্লা কিন্তু এখনই বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না।
এদিকে আজ মন্ত্রীসভার বৈঠকে গড় হাজির থাকতে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের দুই নেতাকে, একজন হলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অপরজন হলেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থ বলে আজ পার্থ চ্যাটার্জির নেতৃত্বে বৈঠকে থাকতে পারেন নি বলে জানা গিয়েছে।