![]() |
এই মঞ্চ থেকেই গতকাল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ভগবান শ্রীরামসীতাকে নিয়ে কুকথা বলেন |
আজ খবর (বাংলা), কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ১১/০১/২০২১ : পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ এখনো ঘোষণা হয় নি, কিন্তু সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে ব্যাপকভাবে। আর তার সাথেই রাজনৈতিক নেতাদের কুকথা বলার প্রবণতাও বেড়ে গিয়েছে অনেকখানি।
গতকাল শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একটি জনসভায় প্রকাশ্যে শ্রীরাম এবং সীতামাতাকে নিয়ে কুকথা বলেছিলেন, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের মত ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। গতকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নিন্দা এবং সমালোচনার সুনামি দেখা গিয়েছিল। অনেককে আবার ওই সাংসদকে হুমকি দিতেও দেখা গিয়েছে।
হুগলির সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি বলেছেন, "এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় খুব অন্যায় কাজ করেছেন। আমরা ছোটবেলা থেকেই রামায়ন মহাভারত পড়ে বড় হয়েছি। শ্রীরাম, সীতামাতা, শ্রীকৃষ্ণ আমাদের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে জনসভা থেকে প্রকাশ্যে প্রভু শ্রীরাম এবং সীতামাতার সম্বন্ধে কটু কথা বলেছেন, তার জবাব উনি পেয়ে যাবেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে। মানুষ তাঁকে জবাব দিয়ে দেবে।"
বিজেপি নেতা প্রহলাদ প্যাটেল বলেছেন, "তৃণমূল নেতারা মানুষের ভাবাবেগ এবং বিশ্বাসের ওপর আঘাত হানছেন। তাঁদের বক্তব্যগুলোর যা ভাষা, তা মানুষের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে দিচ্ছে। ওরা অবশ্যই এর উত্তর বিধানসভা নির্বাচনেই পেয়ে যাবে। আমি সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে গিয়েছিলাম, সেখানে দেখেছি সাধারণ মানুষ তৃণমূল সরকারের ওপর ভীষণভাবে রেগে রয়েছে।"
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বিজেপি নেতা সম্বিৎ পাত্র বলেছেন, "ভারতের কোটি কোটি হিন্দু মানুষের আরাধ্য দেব দেবীকে নিয়ে কটু কথা শুধু কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতারাও প্রায়ই বলেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এতটা সাহস কি করে হল, যে উনি শ্রী রামচন্দ্র এবং সীতা মাতাকে নিয়ে কটু কথা বলেন ?"
লকেট চ্যাটার্জি আরও বলেছেন, "আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। তা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণের ঘটনা খুব বেড়ে গিয়েছে। প্রশাসন নির্বিকার। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আগে নিজের রাজ্যের দিকে তাকান, তারপর না হয় উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান বা বিহারের দিকে তাকাবেন।"
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও।. কেন্দ্র সরকার যখন আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে দেশের নাগরিকদের বিনামূল্যে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক দেওয়া হবে, তা সত্ত্বেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিতভাবে জানিয়েছেন রাজ্যের মানুষকে রাজ্য সরকার বিনামূল্যে করোনার প্রতিষেধক দেবে। দিলীপবাবু বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের প্রকল্পগুলিকে নতুন নাম দিয়ে রাজ্য সরকারের প্রকল্প বলে চালিয়ে যান।.এবারেও কি তিনি কেন্দ্রের দেওয়া প্রতিষেধককে 'টিকাশ্রী' বা 'মমতাশ্রী' জাতীয় কোনো নাম দিয়ে রাজ্য সরকারের বলে চালিয়ে দিতে চাইছেন ?"