আজ খবর (বাংলা), মালদহ, পশ্চিমবঙ্গ, ৩১/০১/২০২১ : খাদি ও গ্রামোদ্যোগ কমিশন – কেভিআইসি, পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় কর্মসংস্থানের জন্য ২২৫০ জন হস্তশিল্পীর পরিবারের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। কেভিআইসি –র চেয়ারম্যান শ্রী বিনয় কুমার সাকসেনা, ১১৫৫টি নতুন মডেলের চরকা ৪৩৫টি সিল্ক চরকা, ২৩৫টি তৈরি পোষাকের মেশিন, ২৩০টি আধুনিক তাঁত যন্ত্র এবং ১৩৫টি রিলিংবেসিন দিয়েছেন। এই সব সুবিধাভোগীদের ৯০ শতাংশই মহিলা। এরা সুতো তৈরি করে কাপড় বোনেন।
পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি এই ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার মূল উদ্দেশ্য হল, মালদা জেলায় রেশম ও তুলো শিল্পের বিকাশ ঘটানো। মালদায় ২২টি খাদি প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার জন্য কেভিআইসি, ১৪ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। শ্রী সাকসেনা জানিয়েছেন, প্রত্যেক ঘরে চরকা পৌঁছে দেওয়ার যে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দেখেন, তা বাস্তবায়িত করতেই পশ্চিবঙ্গে খাদি শিল্পকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলিকে পুরুজ্জীবন, বর্তমান শিল্প সংস্থাগুলিকে শক্তিশালী করা এবং স্থানীয় শিল্পীদের স্থিতিশীল রোজগার নিশ্চিত করতে কেভিআইসি –র এই উদ্যোগ।
সংস্থার চেয়ারম্যান বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে যে উদ্য়োগ নেওয়া হয়েছে, তার মধ্য দিয়ে আত্মনির্ভর ভারত অভিযান ও ভোকাল ফর লোকাল বাস্তবায়িত হবে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্যে যে, মিহি সুতো ও সিল্কের কাজে পশ্চিমবঙ্গ পরিচিত। মুগা, মালবেরি ও তসর সিল্ক, এরাজ্যের হস্তশিল্পীরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তৈরি করেন। রাজ্য মসলিনের কাপড়ও বিশ্বখ্যাত। কেভিআইসি, প্রথমবারের মতো মসলিনের কাপড়ের বিক্রির জন্য ই-পোর্টালের ব্যবস্থা করেছে। শ্রী সাকসেনা, কম্বল সহ নানা সামগ্রী তৈরিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতি নতুন নতুন উদ্ভাবনের বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন। আধা সামরিক বাহিনীতে কেভিআইসি –র উৎপাদিত দ্রব্য বিপুল পরিমাণে বিক্রি হয়।