আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ১২/০১/২০২১ : "পাকিস্তান এবং চীনের জোট এবং তাদের সম্মিলিত হুমকি ভারতের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে", বললেন ইন্ডিয়ায়ন আর্মি চিফ জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে।
আর্মি দিবসের আগে সেনাকর্তা মনোজ মুকুন্দ নারাভানে সাংবাদিকদের বলেন, "পাকিস্তান এবং চীনের বন্ধুত্ব এবং তাদের জোটবদ্ধতা ভারতকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। গত বছর আমরা এই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে দারুন লড়াই করতে পেরেছিলাম। নানারকম বিপরীত পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়েও আমরা শত্রুপক্ষেরের চোখে চোখ রেখে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলাম এবং সেইসঙ্গে গোটা বিশ্বকে একটা বার্তা দিতে পেরেছিলাম।"
শ্রী নারাভানে বলেন, "গত বছর করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা অসংযম হইনি। আমাদের কঠোর মানিভাবের অবস্থান আমরা শত্রুদেরকে জানিয়ে দিতে দিতে পেরেছি।" গত বছর পাকিস্তান সারা বছর ধরে সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলি চালিয়ে গিয়েছে অন্যায়ভাবে। সেই গোলাগুলির যথাযথভাবে জবাব দিয়েছে ভারত। গত বছর বিভিন্ন সময় পাকিস্তানের জঙ্গীরা সন্ত্রাস করতে চাইলেও হয় তাদের এনকাউন্টার করে মেরে ফেলা হয়েছে, নাহলে তাদের গ্রেপ্তার করেছে ভারত। গত বছর সেভাবে জঙ্গী সমস্যা দেশে কোনো নাশকতা ঘটাতে পারে নি বা বড়সড় কোনো ঘটনা ঘটিয়ে মাথাচাড়াও দিতে পারে নি। গত বছর নির্বিঘ্নে নির্বাচনও সম্পন্ন করা গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে।
গত বছর চীনের দিক থেকেও ভারতকে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হয়েছে। কিন্তু একের পর এক বৈঠক করে নরম গরমে ভারত চীনকে মোকাবিলা করে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় ভারতকে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতেও হয়েছে। সুকৌশলে ভারত এমন নীতি নিয়েছে যাতে চীন কিছুই করতে না পারে। যার ফলে এই মুহূর্তে লাদাখ সীমান্তে প্রায় সব পাহাড় চূড়াগুলিকেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। উল্টে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ১০ হাজার সেনা নিয়ে চীনকে পিছিয়ে যেতে হয়েছে বেশ কিছুটা। অথচ ভারত নিজের সীমান্ত এলাকায় উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে।
ভারত সীমান্ত এলাকার জন্যে ইতিমধ্যেই একটি নতুন রোড ম্যাপ বের করেছে, যাতে সীমান্ত অঞ্চলে যে কোনো জরুরি মুহূর্তে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে পৌঁছে যেতে কোনোরকম অসুবিধায় পড়তে না হয়। ভারত ইতিমধ্যেই সীমান্ত অঞ্চলে সেনাবাহিনী যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে আরও অনেক খানি অত্যাধুনিক করে তুলতে পেরেছে। চীন বা পাকিস্তানের দিক থেকে যে কোনো রকম উস্কানি বা আক্রমণের ঘটনা ঘটলে ভারত যে তার মোকাবিলা কঠোরভাবে করতে সক্ষম, সেই বার্তা ওই দুটি দেশকেই শুধু নয়, সেই বার্তা কূটনৈতিকভাবে দেওয়া গিয়েছে গোটা বিশ্বকেই। ভারতের অবস্থানে সন্তুষ্ট বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই এখন বন্ধু হয়ে ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। করোনা পরিস্থিতি সামলেও ভারতের এই অবস্থানকে অনেক দেশই ভারতের প্রভূত উন্নয়ন বলে মানছে।