আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ১৩/০১/২০২১ : দিল্লী থেকে গ্রেপ্তার করা হল অ্যালকেমিস্ট-এর কর্ণধার তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কে ডি সিংকে। দিল্লীতে আজ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি।
এর আগেও কে ডি সিংকে চিটফান্ড সংস্থা অ্যালকেমিস্ট সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। বেশ কয়েকবার তাঁকে তলব করা হয়েছিল, কয়েকবার তিনি দেখা করেছিলেন,আবার কয়েকবার তিনি দেখা করতে আসেন নি। গতকাল ইডি দপ্তরে কে ডি সিংকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি গতকাল দেখা করতে ইডির দপ্তরে গিয়েছিলেন। তাঁকে আজ ফের আয়কর এবং ব্যাঙ্কের কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছিল। সেইমত তিনি সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ইডি দপ্তরে গিয়েছিলেন, কিন্তু সেই কাগজপত্র দেখে সন্তুষ্ট না হওয়ায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর অফিসারেরা আজ কে ডি সিংকে গ্রেপ্তার করেছেন। তাঁকে আজই আদালতে তোলা হবে।
অ্যালকেমিস্ট-এর কর্ণধার কে ডি সিং-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি বাজার থেকে প্রায় ১,৯১৬ কোটি টাকা তুলেছিলেন, এবং তাঁর বিরুদ্ধে ২৩৯ কোটি টাকা দুর্নীতি বা তছরুপের অভিযোগ এনেছে ইডি। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ হয়েছিলেন কে ডি সিং, তিনি রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর গ্রেপ্তারি নিয়ে আক্রমন করতে ছাড়েনি বিজেপি।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য্য বলেছেন, "আইন আইনের পথে চলবে। কে ডি সিং পশ্চিমবাংলার মানুষ নন। তৃণমূল কথায় কথায় অমিত শাহ ও নাড্ডাজিকে বহিরাগত বলে, অথচ অন্য্ রাজ্য থেকে কে ডি সিংকে নিয়ে এসে তৃণমূল সাংসদ করেছিল। তাহলে একজন বহিরাগতকে সাংসদ করেছিল তৃণমূল। নারদা এবং অন্যান্য স্ট্রিং অপারেশনেও প্রচুর টাকা লগ্নী করেছিলেন এই কে ডি সিং।" বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, "এ তো অনেক আগেই হওয়ার ছিল।" আর এক বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, "এই লোকটা একটা ধাপপাবাজ এবং প্রতারক। এই প্রতারক পশ্চিমবাংলার ৭০ লক্ষ মানুষকে প্রতরণা করেছে। একে শুধু গ্রেপ্তার করলেই হবে না, এর সমস্ত সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করতে হবে।"
তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ বলেছেন, "কে ডি সিংকে দলে নিয়ে এসেছিলেন মুকুল রায়। পাপ ঢাকতে আজ তিনি বসে আছেন বিজেপির কোলে। শুধু উনি নন, বেশ কিছু বজ্জাত বিজেপির কোলে বসে আছে। আগে মুকুল রায়কে গ্রেপ্তার করতে হবে। গোটা ব্যাপারটাই উদ্দেশ্য প্রনোদিত।" তৃণমূল নেতা সৌগত রায় বলেন, "মনে হয় ওর কাগজপত্রে কিছু দোষ দেখতে পেয়েছে ইডি, সেইজন্যে গ্রেপ্তার করেছে। তবে কে ডি সিং-এর সাথে দীর্ঘদিন তৃণমূলের আর যোগাযোগ নেই। ও এখন আর তৃণমূলের সাংসদও নয়।"কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান বলেন, "মনে হচ্ছে গড়াপেটা চলছে। রাঘব বোয়ালদের গ্রেপ্তার করা উচিত।"