কাশ্মীরে প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যেই 'ভারতমাতা কি জয়' স্লোগানে গর্জে উঠচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা - আজ খবর । দেখছি যা লিখছি তাই । ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম

Sonar Tori


কাশ্মীরে প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যেই 'ভারতমাতা কি জয়' স্লোগানে গর্জে উঠচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা

Share This

কাশ্মীরে প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যেই 'ভারতমাতা কি জয়' স্লোগানে গর্জে উঠচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা


আজ খবর (বাংলা) শ্রীনগর, জম্মু ও কাশ্মীর, ২২/১২/২০২০ : শুধু গুপকর  জোটবাঁধা দলগুলিই নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও বলেছিল জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপি শূন্য পাবে, কোনো আসন জিততে পারবে না। কিন্তু আজ দেখা গেল বিজেপিই একমাত্র দল যারা একক সাখ্যাগরিষ্ঠ আসন জিতে নিয়েছে কাশ্মীর উপত্যকায়।

৩০ বছর পর জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল। কাশ্মীর উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ ধারা অবলুপ্তির পর এই নির্বাচনের আয়োজন করেছিল কেন্দ্র সরকার। জম্মু ও কাশ্মীরে  আট দফায় জেলা উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাচন করা হল। সঙ্গে ছিল পঞ্চায়েত প্রাধান্ ও উপপ্রধানের উপনির্বাচন। আজ সকাল ৯টা থেকে নির্বাচনের গণনা শুরু হয়েছে। অবশ্য গণনা এখনো শেষ হয় নি। তবে ২৮০টি আসনের মধ্যে এখনো পর্যন্ত ২৩৫টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। যার মধ্যে বিজেপি এককভাবে ৬৮ আসনে জয়লাভ করেছে। উল্টোদিকে গুপকার  জোট জয়লাভ করেছে ১১২ টি আসনে, কংগ্রেস পেয়েছে ২৫টি আসন এবং অন্যান্যরা পেয়েছে মোট ৬৮টি আসন।

এখনো পর্যন্ত পিডিপি জিতেছে ২৪টি আসন, এনসি জিতেছে ৫৫টি আসন, কংগ্রেস জিতেছে ২০টি আসনে, বিজেপি জিতেছে ৬৮টি আসনে, পিসি জিতেছে ৫টি আসনে, জেকেএপি জিতেছে ১১টি আসনে , সিপিআইএম জিতেছে ৫টি আসনে, পিডিএফ জিতেছে ২টি আসন, পিপি জিতেছে ১টি আসন এবং অন্যান্যরা জিতেছে ৪৪টি আসন। এখনো ৪৫টি আসনের ফলাফল আসে নি, এই আসন গুলোর মধ্যেও কিছু আসনে বিজেপি জয়লাভ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা বেশ কিছু আসনে বিজেপি এগিয়ে আছে।

বিজেপিকে আটকানোর জন্যে জম্মু ও কাশ্মীরের ১০টি স্থানীয় রাজনৈতিক দল জোটবদ্ধ হয়েছিল। এই জোটের নাম গুপকার  জোট। এই জোটের প্রেসিডেন্ট জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা এবং সম্পাদক হলেন জম্মু কাশ্মীরের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতি।.এই জোটকে সমর্থন দিয়েছিল কংগ্রেস এবং সিপিআইএম। গুপকার  জোট বলেছিল, জম্মু ও কাশ্মীরের নিজস্ব পতাকা উত্তোলন না হলে দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হবে না। এই জোট বলেছিল চীন এসে কাশ্মীর দখল করলে কাশ্মীরে ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা আবার ফিরিয়ে আনা হবে। এইসব কথা বলেই এরা প্রচার চালিয়েছিল নির্বাচনের আগে। এইসব বিচ্ছিন্নতাবাদী মানুষের কথাবার্তায় একটা দেশবিরোধী উস্কানিমূলক  ব্যাপার লেগেই থাকত। 

সবকিছুর পর দেখা গেল যেখানে এই গুপকার  জোট বলেছিল বিজেপি কাশ্মীরে খাতাই খুলতে পারবে না, সেখানে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল। অর্থাৎ কাশ্মীরের মানুষ মন খুলে;এ সমর্থন করেছেন নরেন্দ্র মোদীকে, সমর্থন করেছেন বিজেপিকে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর ওপর ভরসা রেখেছেন। সত্যিই  বদলে যাচ্ছে কাশ্মীর, আসলে বদলাতে চাইছে কাশ্মীরের মানুষ, সেখানকার নতুন প্রজন্ম। তারা আর সেনাবাহিনীর দিকে পাথর ছুঁড়তে রাজি নয়, তারা আর বন্দুক তুলে নিতে রাজি হচ্ছে না। তারা চায় কাশ্মীর উপত্যাকার সার্বিক উন্নয়ন। আজকের নির্বাচনের ফলাফল অন্তত সেটাই স্পষ্ট করে দিচ্ছে। আজকের নির্বাচনী ফলাফল কাশ্মীরের জঙ্গী, বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং সর্বোপরি পাকিস্ত্রাণের গালে ভারতবাসীর সজোরে এক থাপ্পড়। এই নির্বাচনের ফলাফল শুধু দেশ নয়, একটা বার্তা পাঠানো গেল গোটা বিশ্বকে।


Loading...

Amazon

https://www.amazon.in/Redmi-8A-Dual-Blue-Storage/dp/B07WPVLKPW/ref=sr_1_1?crid=23HR3ULVWSF0N&dchild=1&keywords=mobile+under+10000&qid=1597050765&sprefix=mobile%2Caps%2C895&sr=8-1

Pages