আজ খবর (বাংলা), পুঞ্চ , জম্মু ও কাশ্মীর, ভারত, ১৪/১২/২০২০ : জম্মু ও কাশ্মীরে বড়সড় সর সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। মৃত্যু ২ জঙ্গীর, গ্রেপ্তার ১; উদ্ধার প্রচুর পরিমান অস্ত্র শস্ত্র।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। সেই তল্লাশি চালাতে গিয়ে বেঁধে যাচ্ছে গুলির লড়াই। কাশ্মীর জোন পুলিশের কাছে আগাম খবর ছিল পুঞ্চ জেলার দুর্গন পোষনা এলাকায় কয়েকজন জঙ্গী লুকিয়ে আছে। খবর পেয়ে ওই এলাকায় তল্লাশি চালাতে যায় নিরাপত্তা বাহিনী। ওই বাহিনীতে ছিলেন কাশ্মীর জোন পুলিশ এবং ইন্ডিয়ান আর্মির জওয়ানরা। কিন্তু ওই এলাকাটিকে ঘিরে ফেলার আগেই জঙ্গীরা পালিয়ে যায়।
পুলিশ বুঝতে পারে তারা সম্ভবত দক্ষিণ কাশ্মীরের দিকে পালিয়ে গিয়েছে। এও বোঝা যায় যে, কাশ্মীর জুড়ে চলতে থাকা জেলা উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাচনে বড়সড় নাশকতা চালানোর উদ্দেশ্যেই এই জঙ্গীরা এসেছে। নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গীদের তাড়া করতে থাকে, কিন্তু প্রতিবার জঙ্গীরা পালিয়ে যায়। আসলে ওই জঙ্গীদের পালিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছিল আর চারদিক থেকে নিরাপত্তা বাহিনী ঘেরাটোপ ছোট করতে শুরু করেছিল।
ওই এলাকার আশেপাশে সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পালতে পালাতে একটা সময় জঙ্গীরা বুঝতে পারে, তাদের আর পালাবার পথ নেই আর তাদেরকে ঘিরে ধরেছে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। নিরাপত্তা বাহিনীর অফিসারেরা জানতেন ওদের পক্ষে আর বেশিদূর পালানো সম্ভব নয়, কেননা কাশ্মীরের বহু জায়গায় তুষারপাত হওয়ার ফলে বরফাবৃত হয়ে রয়েছে। এরপর জঙ্গীদের ঘিরে ধরে তাদের আত্মসমর্পন করার অনেক সুযোগ দেয় নিরাপত্তা বাহিনী।
জঙ্গীদের মধ্যে একজন আত্মসমর্পন করলেও বাকি দুজন গুলি চালাতে শুরু করে। তখন বাধ্য হয়েই এনকাউন্টারে গুলি চালাতে হয় নিরাপত্তা বাহিনীকেও। প্রায় আড়াই-তিন ঘণ্টা ধরে দু পক্ষের মধ্যে চলে গুলির লড়াই, শেষে মৃত্যু হয় দুই জঙ্গীর। মৃত ওই দুই জঙ্গীর হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২টি এ কে ৪৭ স্বয়ংক্রিয় বন্দুক, ৬টি এ কে ৪৭ বন্দুকের ম্যাগাজিন, ৩০০টি এ কে ৪৭-এর গুলি, ১টি আন্ডার ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার, ১২টি গ্রেনেড, ১টি স্যাটেলাইট ফোন, ৩০০টি বিস্ফোরক, ৩টি মোবাইল ও ২৬,০০০ টাকা। আত্মসমর্পন করা জঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছে কাশ্মীর জোন পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।