আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ০৪/১২/২০২০ : দেশজুড়ে পালিত হল নৌসেনা দিবস। ১৯৭১ সালে ভারতীয় নৌ সেনা পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে করাচি বন্দরে জয়লাভ করে তছনছ করে দিয়েছিল। তারপর থেকে প্রতি বছর আজকের দিনে ভারতে পালিত হয় নৌসেনা দিবস। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নৌসেনা দিবস উপলক্ষে ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী এক ট্যুইটে বলেছেন, ‘আমাদের সমস্ত সহসী নৌসেনা কর্মী ও তাঁদের পরিবারকে নৌসেনা দিবসের শুভেচ্ছা। ভারতীয় নৌবাহিনী নির্ভিকতার সঙ্গে আমাদের উপকূল এলাকা সুরক্ষিত রাখে এবং প্রয়োজনের সময় মানবিক সাহায্য দেয়। আমরা কয়েক শতাব্দী ধরে ভারতের সমৃদ্ধ সামুদ্রিক পরম্পরাকে স্মরণ করি।’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ নৌ-সেনা দিবস উপলক্ষে ভারতীয় নৌ-বাহিনীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এই ট্যুইটে তিনি জানিয়েছেন, “নৌ-সেনা দিবসে আমি ভারতীয় নৌ-বাহিনীর সমস্ত সাহসী কর্মী ও তাঁদের পরিবারকে আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের সামুদ্রিক সীমানা রক্ষায় এবং বিপর্যয়ের সময় জাতীয় জাতির সেবা করার ক্ষেত্রে বাহিনীর অটুট অঙ্গীকারের জন্য ভারত ‘নীল জলবাহিনী’কে নিয়ে গর্বিত”।
প্রতি বছর ৪ঠা ডিসেম্বর নৌ-সেনা দিবস হিসাবে উদযাপন করা হয়। সমগ্র জাতি ও ভারতীয় নৌ-বাহিনীর ইতিহাসে এই দিনটির অত্যন্ত তাৎপর্য রয়েছে। ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধে এই দিনটিতেই ভারতীয় নৌ-বাহিনী সাফল্য অর্জনে এক নির্ণায়ক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই দিনটিতে নৌ-বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রবাহী জলযান থেকে সাফল্যের সঙ্গে শত্রুপক্ষের একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী জাহাজ, তেল ট্যাঙ্কার এবং উপকূল লাগোয়া প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সাফল্যের সঙ্গে আঘাত করা হয়েছিল। ভারতীয় নৌ-বাহিনীর ‘ট্রাইডেন্ট’ অভিযানের অঙ্গ হিসাবে এই যুদ্ধে ১৯৭১ সালে ভারতীয় নৌ-বাহিনীর একাধিক জাহাজ শত্রুপক্ষ পাকিস্তানী বাহিনীর যুদ্ধের সাজ-সরঞ্জাম ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী বহনকারী বেশ কয়েকটি জাহাজের সলিল সমাধি করে দিয়েছিল। নৌ-বাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ বিক্রান্ত থেকে যুদ্ধ বিমানে করে শত্রুপক্ষের একাধিক বন্দর ও বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানা হয়েছিল। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের চট্টগ্রাম ও খুলনায় শত্রুপক্ষের বন্দর ও বিমানঘাঁটিগুলিকেও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি, ভারতীয় নৌ-বাহিনীর এই অভিযানে শত্রুপক্ষের একাধিক জাহাজ ও প্রতিরক্ষা কেন্দ্র তথা প্রতিষ্ঠান নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। পূর্ব পাকিস্তানে এবং করাচীতে ভারতীয় নৌ-বাহিনীর একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানী বাহিনীর শোচনীয় পরাজয় ঘটেছিল।
আজ কলকাতার হেস্টিংসেও সাড়ম্বরে পালিত হয়েছে নৌসেনা দিবস। তবে অন্যান্যবার যে ধরনের অনুষ্ঠান হয়, করোনা আবহে সেই অনুষ্ঠানগুলির তালিকাকে কাটছাঁট করে বাকি অনুষ্ঠানগুলিকে নিয়েই পালিত হয়েছে নৌসেনা দিবস।
Loading...