আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ০৩/১২/২০২০ : উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু নবীন প্রজন্মের কাছে দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আধুনিক প্রজন্মকে ডক্টর কালামের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ভারতকে একটি শক্তিশালী, স্বনির্ভর এবং সম্মিলিত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন ডক্টর কালামের মতই যুবসমাজকে তাদের বদ্ধ অবস্থা থেকে বাইরে বেরিয়ে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে।
শ্রী নাইডু আজ ভার্চুয়াল মাধ্যমে 'ফর্টি ইয়ার্স উইথ আবদুল কালাম- আনটোল্ড স্টোরিস' নামে একটি বই প্রকাশ করেন। বইটির লেখক শিবোথানু পিল্লাই। বইটি প্রকাশ করে উপরাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই বইটিতে এপিজে আবদুল কালাম সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য রয়েছে। বাধা-বিপত্তি এবং বিপর্যয় অতিক্রম করতে কিভাবে দৃঢ় মানসিকতা অর্জন করা যায় তা ডক্টর কালামের কাছ থেকে শিক্ষণীয়।
ডক্টর কালামের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, বিভিন্ন সময়ে তাঁর সঙ্গে কথোপকথন হয়েছিল। কোন বিষয় সম্পর্কে তাঁর গভীরতা ছিল অতুলনীয়। তিনি ছিলেন প্রকৃতপক্ষে একজন কর্মযোগী এবং প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে অনুপ্রেরণা স্বরূপ। তিনি ছিলেন সত্যিই একজন 'জনগণের রাষ্ট্রপতি।' একেবারেই সাধারণ এবং সততার প্রতীক। ভারতকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর এই অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ নাসা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাওয়া একটি নতুন আবিষ্কৃত জীবের নামকরণ করেছিল।
উপ রাষ্ট্রপতি বলেন, বিদ্যালয় এবং মহাবিদ্যালয় স্তরে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি ডক্টর কলামের স্নেহ ছিল অপরিসীম। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে তিনি ছিলেন প্রেরণা স্বরূপ। ভারতের বিকাশে তার চিন্তাভাবনা ছিল অপরিসীম। দেশের প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে বিকাশ যে সম্ভব সেটাই তিনি উপলব্ধি করেছিলেন।
বর্তমান করোনা জনিত অতিমারি পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের সুযোগ করে দিয়ে গ্রাম এবং ছোট ছোট শহরের অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটানোর প্রতি উপরাষ্ট্রপতি গুরুত্ব আরোপ করেন। অতিমারি করোনার সূচনায় ভারত যেখানে পিপিইকিট তৈরি করতে সমর্থ ছিল না সেখানে আজ দেশ পিপিই কিট তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এভাবেই আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। যা ডক্টর এপিজে আবদুল কালামেরও স্বপ্ন ছিল যে, ভারত স্বনির্ভর দেশ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলবে।