আজ খবর (বাংলা), শিলিগুড়ি, পশ্চিমবঙ্গ, ০৭/১২/২০২০ : বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার শিলিগুড়ি শহর। পুলিশের সাথে খণ্ডযুদ্ধে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর খবর আসছে।
আজ বিজেপির যুব মোর্চার ডাকে শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযান কর্মসূচী ছিল। এই অভিযানে অংশ নিতে আজ সকালেই কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি শহরে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি ছাড়াও আজ উত্তরকন্যা অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যে শিলিগুড়িতে ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সায়ন্তন বসু, জয়ন্ত রায়ের মত নেতারা। উপস্থিত থাকার কথা ছিল জন বার্লার। কিন্তু তাঁকে ডুয়ার্সেই আটকে দিয়েছিল পুলিশ।
বেলা গড়াতেই বিজেপির যুব মোর্চার সদস্যেরা উত্তরকন্যার দিকে এগোতে থাকেন। এই সময় পথের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের বেশ কিছু ব্যারিকেড থাকতে দেখা যায়। পুলিশ মিছিল আটকানোর জন্যে আগে থেকেই সবরকম বন্দোবস্ত করে রেখেছিল। মিছিলের সদস্যরা পুলিশের দুটি ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ জল কামান দিয়ে আটকানোর চেস্টা করে। মুহুর্মুহু কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। উত্তপ্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা ঢিল ছুঁড়তে শুরু করলে পুলিশও পাল্টা ঢিল ছুঁড়তে থাকে।
আজকের ঘটনায় অন্ততপক্ষে ৫০ থেকে ৬০টি কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়েছে বলে খবর যাচ্ছে। বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ জল কামানের সামনে পরে যান। তিনি কাঁদানে গ্যাসের জন্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় অভিযোগ করেন, "তৃণমূলের গুন্ডারা তাঁদের কর্মীদের ওপর দেশি বোমা ছুঁড়েছে।" এই সময় শিলিগুড়ির তিনবাত্তি মোড় ও জলপাই মোড় রীতিমত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।পুলিশের সাথে বিজেপি কর্মীদের খন্ড যুদ্ধ বেঁধে যায়। পুলিশের লাঠির ঘায়ে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে, এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে। ওই ব্যক্তির নাম উলেন রায় (৫০), তিনি গজলডোবার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও আজ বিজেপির বহু কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানতে পারা গিয়েছে। অনেককে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অনেক বিজেপি কর্মী সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।