আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী ও ঢাকা, ভারত ও বাংলাদেশ, ১৮/১২/২০২০ : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যৌথ উদ্যোগে গতকালই ভারতের হলদিবাড়ি থেকে বাংলাদেশের চিলাহাটির মধ্যে মৈত্রীর রেল যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে গতকাল বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষর করা হয়েছে। তবু বাংলাদেশের ইসলামিক চরম পন্থী সংঠনগুলি যে চিন্তায় ফেলেছে ভারতকে, তা অপ্রকাশিত থাকল না দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায়।
বাংলাদেশের সাথে আলোচনার মাঝেই ভারত জানিয়ে দেয়, বাংলাদেশে কিছু ইসলামিক চরম পন্থী সংগঠন ভারতের কাছে মাথাব্যথার কারন হয়ে উঠেছে। তাদের বিভিন্ন কার্যকলাপ ভারতকে বিপদে ফেলতেই পারে। বাংলাদেশ অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। বাংলাদেশের তরফ থেকে জানানো হয়, 'শেখ হাসিনার বাংলাদেশ সরকার এই চরম পন্থী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এই বিষয়গুলি সমাধান করতে যথেষ্ট আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে।"
বাংলাদেশ জানিয়েছে, "বাংলাদেশে 'হেফাজত এ ইসলাম' নামে একটি চরম পন্থী সংগঠন আছে, তাদের বিরুদ্ধে মোট ৮০টি অভিযোগ নতুন করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এই সংগঠনের প্রধান জুনেইদ বাবুনাগরি ইতিমধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমনের মূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং বাকি মূর্তিগুলিরও ক্ষতি করবে বলে হুমকি দিয়েছে। আমাদের দেশে জঙ্গীদের বিরুদ্ধে মামলাগুলিকে দীর্ঘ মেয়াদি করা হবে না; সরকার কখনোই এই ধরনের সংগঠনের পাশে দাঁড়াবে না বা সমর্থণ করবে না। আল কায়দা বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের দ্বারা প্রভাবিত কোনো চরম পন্থী সংগঠনকে প্রশয় দেয় না হাসিনা সরকার। বাংলাদেশকে কোনোভাবেই আফগানিস্তান বানাতে দেব না।"