আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ২৩/১২/২০২০ : ব্রিটিশ সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হু'কে জানিয়েছে যে সার্স-কোভ -২ এর একটি নতুন পরিবর্তনশীল প্রজাতি পাওয়া গেছে। ইউরোপীয় সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অনুসারে ভাইরাসটি আরও সংক্রামক এবং অল্প বয়সীদের জন্য বেশি ক্ষতিকারক বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন ভাইরাসটিতে ১৭ টি পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে স্পাইক প্রোটিনের সঙ্গে যুক্ত অঞ্চলে পরিবর্তনগুলি ভাইরাসটিকে আরও সংক্রামক এবং মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া সহজ করে তুলছে।
এই প্রসঙ্গে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রক একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) জারি করেছে। গত ৪ সপ্তাহে (২৫ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ) ব্রিটেন ভ্রমণ বা সেই দেশ হয়ে যারা যাত্রা করেছেন , সেইসব আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য প্রবেশ স্থানে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয় এসওপি'তে বর্ণনা করা হয়েছে । এই এসওপি'তে কেবলমাত্র আরটি-পিসিআর পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে ।
ব্রিটেন থেকে বিমান চলাচল অস্থায়ীভাবে ২৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর বা পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। ২১ থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্রিটেন থেকে ভারতে আগত বা ব্রিটেনের বিমানবন্দর হয়ে ভারতে আগত যাত্রীদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে।নমুনা পরীক্ষায় ইতিবাচক ধরা পরলে স্পাইক জিনের ভিত্তিতে আরটিআই-পিসিআর পরীক্ষা করার পরামর্শও দেওয়া হয়ছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে আক্রান্ত রোগীকে প্রাতিষ্ঠানিক বিভাজন সুবিধায় একটি পৃথক (বিভাজন) বিভাগে রাখতে হবে। ভাইরাসটির সংশ্লেষ পরীক্ষা করার জন্য নমুনা পুনের জাতীয় ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি বা অন্য পরীক্ষাগারে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি সেই পরীক্ষায় সার্স-কোভ -২ এর নতুন পরিবর্তনশীল প্রজাতির অস্তিত্বের ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তবে রোগীকে পৃথক বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাখা হবে এবং চিকিৎসা নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।
বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ফল নেতিবাচক হলেও যাত্রীদের বিচ্ছিন্নভাবে বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়ছে।বিমান বন্দরে আগত যাত্রীদের চেক-ইন এবং বিমানের অভ্যন্তরে এই এসওপি সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।
গতএক মাসে ব্রিটেন থেকে আগত যাত্রীদের জেলা তদারকি আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে ।
গত চার সপ্তাহে ব্রিটেন বা বাইরে আসা সমস্ত যাত্রীদের রাজ্য সরকার / ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ মনিটরিং প্রোগ্রাম বা সুসংহত রোগ নজরদারি কর্মসূচির আওতায় খোঁজখবর রাখতে হবে এবং পর্যবেক্ষণ চালাতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী তাদের পরীক্ষা করতে হবে এবং ইতিবাচক ব্যক্তিদের সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের আলাদা পৃথক পৃথক কেন্দ্রে নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে।