আজ খবর (বাংলা), দাঁতন, পূর্ব মেদিনীপুর, ২৭/১২/২০২০ : আজ পূর্ব মেদিনীপুরের দাঁতনের জনসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী। জনসভা থেকে আজ শুভেন্দু অধিকারী কি বার্তা দেন, সেদিকে নজর ছিল সাধারণ মানুষের।
আজ জনসভার আগে শুভেন্দু অধিকারী দাঁতনের বাস স্ট্যান্ড থেকে সরাই বাজার পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তায় বিশাল রোড শো করেন। সেই রোড শো উপলক্ষে আজ দাঁতনের রাস্তায় ছিল জনজোয়ার। রোড শো শেষ করে শুভেন্দু অধিকারী জনসভায় ভাষণ দেন। তাঁর ভাষণে শুভেন্দু অধিকারীর আক্রমনের একমাত্র লক্ষ ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই আগাগোড়াই তৃণমূল কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে একের পর এক আক্রমন করে গেলেন তিনি এবং জনসভার শেষে মেদিনীপুর থেকে বিজেপিকে জেতানোর লক্ষমাত্রা স্থির করে দিয়ে গেলেন অনুগামীদের জন্যে।
আজকের জনসভার মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "কাঁথিতে গিয়ে অনেক কথা বলে এসেছেন ছিন্নমূল নেতারা। কিভাবে ওরা কেন্দ্রের প্রকল্পগুলোর নাম বদলে দিয়ে নিজেদের নামে চালিয়ে গেছে, তা আমি খুব বাল করে জানি। PMY কে BMY বলে চালিয়ে দিয়েছে। আমি তো ভিতরে ছিলাম, আমি জানি। একেবারে ঘেন্না ধরে গেছে। একজন তৃণমূল সাংসদ কাঁথিতে বলেছিলেন, মেদিনীপুরে বিশ্বাসঘাতকদের জন্ম হয়। আমি বলি, এই মাটিতে বিদ্যাসাগর জন্মেছিলেন। তিনি বর্ণপরিচয় না লিখলে নিজের নাম ঠিকানাও তো লিখতে পারতেন না !"
শুভেন্দুবাবু বলেন, "গতকাল কলকাতার হেস্টিংসে আমাদের ডাকা হয়েছিল বিজেপি অফিসে। সেখানে সুনীল মণ্ডলকে হেনস্থা করেছে তৃণমূলের যুবারা, আসলে সব ছিল জেহাদি। আমাকে ঢোকার সময় কিছু বলতে পারে নি, বেরোবার সময় দেখি জানা পঞ্চাশেক লোক, সব জেহাদি।গণতান্ত্রিক দেশে কথা বলার এবং অন্য দলে যাওয়ারও অধিকার আছে।"
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "এই রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কেউ পাত্রী দিতে চায় না। তাদের আবার বলা হয়েছে, বিজেপি এলে চাকরিটাও চলে যাবে। সব কথা শুনতে পাই.। ওরা বলছে শঙ্করপুরে নাকি বন্দর হবে ! বন্দর করতে তো জমি লাগে নাকি ? শুধু সমুদ্র থাকলেই বন্দর হয়ে যাবে কি করে ? আপনি যে জমি নীতি নিয়ে চলেছেন, তাতে এই রাজ্যে কিসস্যু হবে না। আপনারা সংযত হয়ে কথা বলুন। না হলে মে মাসের ১৫ তারিখ পেরিয়ে গেলে তো আবার বার বার ফোন করে অনুরোধ করবেন আর বলবেন দাদা বাঁচান। এমন কিছু করবেন না, যাতে ফোন কেটে দিতে হয় অথবা ফোনটাকে সুইচ অফ করে দিতে হয়।." শুভেন্দু অধিকারী আগামী ৪ তারিখে গড়বেতায় জনসভা করবেন এবং আগামী ৭ তারিখে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার পরের দিন অর্থাৎ ৮ তারিখে নন্দীগ্রামেই জনসভা করবেন বলে জানা গিয়েছে।