আজ খবর (বাংলা), কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ০৩/১২/২০২০ : দীর্ঘ দুই বছর পর নব সাজে তৈরি হয়ে আজ খুলে গেল মাঝেরহাটের 'জয় হিন্দ' সেতু। আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ এই সেতুর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উদ্বোধনী সভায় মমতা বলেন, "২০১৮ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর মাঝেরহাটের ব্রীজ ভেঙে পড়েছিল, আমি ছিলাম দার্জিলিংএ। সেখানেই খবর পাই, এই ব্রীজ ভেঙে পড়েছে। এই ব্রীজ ৯ মাস আগেই খুলে দেওয়া যেতে পারত , কিন্তু প্রয়োজনীয় অনুমতি দিতে রেল ৯ মাস দেরি করে, লক ডাউনের সময় তিন মাস কাজ বন্ধ ছিল। এই কারণেই এই ব্রীজের কাজ শেষ করতে একটা বছর দেরি হয়ে গেল। এই ব্রীজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারনে আপনাদের অনেক অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তার জন্যে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আপনারা দয়া করে কিছু মনে করবেন না।"
মমতা আরও বলেন, "আমরা গোটা কলকাতা ফ্লাই ওভারে ভরে দিয়েছি। আজ এই ব্রীজ খুলে দেওয়া হচ্ছে জন সাধারনের জন্যে। খুব কাছেই আমরা দুটো ব্রীজ করে দিয়েছি, একটা গার্ডেনরিচে, অপরটা মহেশতলা অঞ্চলে। মা সেতুটিও আমরাই করে দিয়েছি। পাটুলি বাঘা যতীনের কাছে সেতুটাও আমরা করে দিয়েছি। কেষ্টপুর থেকে জোড়া মন্দির পর্যন্ত ব্রীজ করে দিয়েছি। এবার তাড়াতলা থেকে টালিগঞ্জ হয়ে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড পর্যন্ত নতুন সেতু হবে। পার্ক সার্কাস থেকে বালিগঞ্জ ফাঁড়ি পর্যন্ত নতুন সেতু হবে। গনেশ চন্দ্র এভিনিউ থেকে নিউ মার্কেট পর্যন্ত নতুন সেতু হবে। এই সেতুর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এভাবে গোটা কলকাতাকেই ফ্লাই ওভারে ভরে দিচ্ছি। এতে করে কলকাতায় আর যান চলাচলে অসুবিধায় পড়তে হবে না। ট্রাফিক জ্যামে পড়তে হবে না।"
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মাঝেরহাটের এই সেতু আমি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে উৎসর্গ করছি। তাই এই সেতুর নাম রাখা হয়েছে জয় হিন্দ সেতু। আজ থেকেই এই সেতু জনসাধারণের জন্যে খুলে যাচ্ছে। আগে এই সেতু ২ লেনের ছিল, এখন এই সেতুকে ৪ লেনের করা হয়েছে। আরও মজবুত করে নতুন প্রযুক্তি দিয়ে এই সেতু তৈরি করা হয়েছে। এই সেতু নির্মাণের পুরো খরচ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই সেতুকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। কোনোভাবেই নোংরা হতে দেবেন না।"