আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ১৪/১২/২০২০ : এবার কৃষি আইনের বিরোধিতা করা আন্দোলনরত কৃষকদের উল্টো পথে হেঁটে কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইনকেই সমর্থন করে গেলেন সর্ব ভারতীয় কিষান সমন্বয় কমিটির কৃষকরা। স্মারকলিপি জমা পড়ল কেন্দ্র সরকারের কাছে।
বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত সর্ব ভারতীয় কিষাণ সমন্বয় কমিটির প্রতিনিধিত্বকারী সদস্যরা আজ কৃষি ভবনে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা তামিলনাড়ু এবং বিহারের কৃষক নেতৃ্ত্বরা এদিন কৃষি মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। তাদের সকলকে আশ্বস্ত করা হয় যে সাম্প্রতিক কৃষি আইন থেকে দেশের কৃষকরা লাভবান হবেন এবং বছরের পর বছর ধরে শোষণকারী মধ্যস্থতাভোগীদের খপ্পর থেকে কৃষকরা বাঁচবেন। তারা মতপ্রকাশ করেন যে এই আইন কৃষকদের পছন্দমতো স্থানে ফসল বিক্রির স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করবে এবং কৃষি উৎপাদন বিপণন কমিটির আওতার বাইরে বেরিয়ে এসে বাধামুক্ত ভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ প্রদান করবে। তারা আরও জানিয়েছেন যে এই আইন কৃষকদের সঙ্গে ক্রেতাদের পূর্ব মূল্য নির্ধারণে সক্ষম চুক্তি করার অধিকার প্রদান করবে এবং বাজারের অনিশ্চয়তার মতো ঝুঁকির হাত থেকে কৃষকদের রক্ষা করবে। তারা মনে করেন যে, কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত বীজ এবং অন্যান্য উপকরণগুলির সুবিধার পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রে বেসরকারী বিনিয়োগেও সুবিধা এনে দেবে।
সর্বভারতীয় কিষাণ সমন্বয় কমিটির আওতায় ৭ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করছে। সম্প্রতি কৃষি আইন কার্যকর করে তুলতে সহায়তা প্রদানে এই সদস্য সংখ্যা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্ব ভারতীয় কিষাণ সমন্বয় কমিটির প্রতিনিধিরা এই কৃষি আইনের বিষয়ে সবরকম সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে কৃষি মন্ত্রীকে আশ্বাস করেছেন। তারা এই কৃষি আইন কার্যকর করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং আন্দোলনকারীদের দাবি না মানার আহ্বান জানিয়েছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে এও আবেদন জানানো হয়েছে যে সরকারের উচিত এই আইনের সুবিধা সম্পর্কে বিজ্ঞাপন এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে সচেতন করে তোলা।
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, সরকারের উদ্দেশ্য এবং নীতি পরিষ্কার। কৃষকরা ইতিমধ্যেই কৃষি অনুকূল সংস্কার থেকে উপকৃত হয়েছেন। এতে কৃষকদের আয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে। সরকার সর্বদা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত বলেও তিনি জানিয়েছেন।