আজ খবর(বাংলা), ইসলামাবাদ, পাকিস্তান, ২৪/১২/২০২০ : ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মানুষদের জোর করে ধর্মান্তকরণের প্রবণতা বেড়ে চলেছে বলে জোরদার অভিযোগ তুলল দক্ষিণ এশীয় মানবাধিকার সংগঠন। যার ফলে গোটা বিশ্বের সামনে ফের একবার মাথা হেঁট হল পাকিস্তানের।
মাস দুয়েক আগে পাকিস্তানে এক ১৭ বছর বয়সী হিন্দু মেয়েকে আত্মহত্যা করতে হয়েছিল। এই মেয়েটিকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়েছিল, তারপরে তার ধর্মান্তকরণের চেষ্টা করা হয়েছিল। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ওই মেয়েটি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ার মানবাধিকার সংগঠন বলেছে পাকিস্তানকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর চাপ দিয়ে ধর্ম বদলানোর অভ্যাস অবশ্যই থামাতে হবে। এই ব্যাপারে রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তানের মানবাধিকার সংগঠনগুলিও।
দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দু এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা প্রায়শই ঘটে চলেছে। প্রায় প্রতিদিন এই ধরনের খবর প্রকাশ্যে আসছে। প্রথমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলার সাথে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম, এবং শেষে জোর করে নিকাহ করে মহিলার ধর্ম বদলে দেওয়া। সেই সময় ব্যাপক অত্যাচার চালানো হয় ওই মহিলার ওপর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েটির মৃত্যু হয়। একেই সম্ভবত 'লাভ জেহাদ' বলা হয়। এই ব্যাপারটা রীতিমত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে পাকিস্তানে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে শুধু দক্ষিণ এশীয় মানবাধিকার সংগঠনই নয়, সরব হতে চলেছে বিশ্বের অন্যান্যদেশের মানবাধিকার সংঠনগুলিও। পাকিস্তান সরকার এখনো নির্বিকার।
Loading...