আজ খবর (বাংলা), কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ২৩/১২/২০২০ : আজ বিজেপি সদর দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্ৰমশঃ বাড়ছে। আজ সেই প্রসঙ্গ তুলেই দিলীপ ঘোষ বলেন, "রাজ্যে যে ধরনের হিংসা এবং উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে, বিভিন্ন জেলা থেকে উগ্রপন্থীরাও ধরা পড়ছে, তাতে রাজ্যের সাধারণ মানুষ চিন্তায় রয়েছেন যে তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার তাঁরা আদৌ প্রয়োগ করতে পারবেন কিনা। তাঁরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারবেন কিনা। এই ব্যাপারে অনেকেই আদালতে যাচ্ছেন, আদালত নিশ্চয়ই এই ব্যাপারে বিচার বিবেচনা করবেন।"
এরপর বিরোধীদের আক্রমন করে দিলীপ ঘোষ বলেন, "বিজেপি নাকি জনসভায় বাইরে থেকে লোক নিয়ে আসছে, তা আমি বলছি, আপনাদেরও তো অনেক শক্তি, অনেক ক্ষমতা, আপনারাও বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে দেখান না ? অসুবিধা কোথায় ? বিজেপি যেখানে সভা করবে, সেখানে ওরাও সভা করবে, বিজেপি ঝান্ডা বাঁধলে ওরাও বাঁধবে, এটা কি ধরনের রাজনীতি ? ওরা তো দেখছি বিজেপিকে ফলো করছে !"
দিলীপবাবু আজ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, "সৌমিত্রবাবুর স্ত্রী আমাদের দলের প্রাইমারি সদস্য ছিলেন কিনা তা আমি জানি না। সৌমিত্রবাবুর স্ত্রীকে নিয়ে সৌগতবাবুর মত সিনিয়র নেতা যেভাবে লাফাচ্ছেন, তাতে ওদের স্ট্যান্ডার্ড বোঝা যায়, আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, কিছু মিডিয়াও এই ব্যাপারটাকে নিয়ে লাফালাফি করছে।"
আর একটি প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমাদের দলের কেউ হামলা করে না। এত শক্তি এখনো আমাদের হয় নি।তৃণমূলের মধ্যে কে যে শুধু মূল, কে তৃণমূল আর কে নির্মূল সেটা বোঝা যাচ্ছে না। কে হামলা করছে সেটা ওদেরই দেখা উচিত। ওদেরই দায়িত্ব নেওয়া উচিত যাতে হামলা না হয়.। আমাদের তরফ থেকে কেউ হামলা করছে না।"
আজ সমাজের বেশ কিছু বুদ্ধিজীবী মানুষ বিজেপিতে যোগদান করলেন, দিলীপবাবু তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন। আজ বিজেপিতে যোগ দিলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী নারায়ণ চক্রবর্তী, দুই দফায় তৃণমূলে থাকা নেতা সুজিত প্রামানিক, (গোসাবা বিধানসভার প্রার্থী ছিলেন, এঁর সাথে ৫০০ জন কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে), ওয়েস্ট বেঙ্গল আউটডোর বিজ্ঞাপন এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অরূপ চৌধুরী, হাইকোর্টের আইনজীবী অভীক বসু, মিডিয়া পেশাদার দেবযানী গাঙ্গুলি, এবং ২৫ জন সমার্থক নিয়ে বাগুইহাটির ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ সরকার।