আগামী নির্বাচনে আমরাই জিতব, দেশকে পথ দেখাবে তৃণমূল কংগ্রেস : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় - আজ খবর । দেখছি যা লিখছি তাই । ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম

Sonar Tori


আগামী নির্বাচনে আমরাই জিতব, দেশকে পথ দেখাবে তৃণমূল কংগ্রেস : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Share This

আগামী নির্বাচনে আমরাই জিতব, দেশকে পথ দেখাবে তৃণমূল কংগ্রেস : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


আজ খবর (বাংলা), জলপাইগুড়ি, পশ্চিমবঙ্গ, ১৫/১২/২০২০ :  তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে আজ জলপাইগুড়িতে তৃণমৃল কর্মীদের মনোবল  চাঙ্গা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আজ জলপাইগুড়িতে জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে আগাগোড়া বিজেপিকে আক্রমন করেছেন মমতা। তিনি বলেছেন, "বিজেপির মত এতবড় ডাকাত সর্দার আর কোথায় আছে ? সব চম্বলের দস্যু। ওরা প্রতিশ্রুতি দেয়, ওদের প্রতিশ্রুতি মানেই হল প্রতারণা। ওরা কথা রাখে না। এতদিন যতগুলো কথা ওরা দিয়েছে, তার কিছুই রাখেনি। ওরা সকলের সাথে সকলের দাঙ্গা লাগিয়ে দেয়। ওদের নতুন ধর্ম হল দাঙ্গা ধর্ম। কুৎসা আর হিংসার ধর্ম।"

মমতা বলেন, "জলপাইগুড়িতে ৯৫% মানুষ রাজ্য সরকারের পরিষেবা পান। আমরা এখানে রাজবংশী এবং কামতাপুরি ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছি। রাজবংশী ডেভলপমেন্ট কালচারাল বোর্ড তৈরি করে ২৫ কোটি টাকা দিয়েছি। কামতাপুরি সংস্কৃতি একাডেমীকে ৫ কোটি টাকা দিয়েছি। কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে দিয়েছি ২৭ একর জমির ওপর। কোচবিহারের রাজার আজ ১০৬ বছরের জন্মদিন। তাঁর নামে একটা মেডিকেল কলেজ গড়ে দিয়েছি। আমি কোচবিহারে গিয়ে আজ সেই মেডিকেল কলেজের উদ্বোধন করব। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ তারিখে ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছি।"

পাহাড় ও উত্তরবঙ্গের আদিবাসী প্রসঙ্গে মমতা বলেন, "নির্বাচন আসলেই বিজেপি গোর্খাল্যান্ড নিয়ে কথা বলে। বিমল গুরুংকে ওরা বলেছিল গোর্খাল্যান্ড দিয়ে দেব। আজ পর্যন্ত কতগুলো গোর্খাল্যান্ড ওরা দিল ? ৬ বছর পর এবার পাহাড়বাসীরা বুঝতে পেরেছেন, বিজেপি এতদিন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। গোর্খাল্যান্ড নিয়ে স্থায়ী সমাধান যদি কেউ করতে পারে সেটা আমরা, ওরা নয়। উত্তরবঙ্গের আদিবাসি এবং উপজাতিদের নিয়ে আমরা অনেক কিছু পরিকল্পনা করেছি। আমরা তৈরি করেছি গোর্খা ব্যাটেলিয়ান, যাদের সদর দপ্তর হবে নক্সালবাড়িতে, নারায়ণী সেনা করেছি, যাদের সদর দপ্তর হবে মেখলিগঞ্জে, জঙ্গলমহল ব্যাটেলিয়ান করেছি, যাদের সদর দপ্তর হবে ঝাড়গ্রামে। যাঁরা এখানে কেএলও  করতেন, তাঁরা ফিরে এসেছেন সমাজের মূল স্রোতে। তাঁদের মধ্যে ৪০০ জনকে আমরা হোমগার্ডের চাকরি দিয়েছি।তরাই ডুয়ার্স নিয়েও অনেক পরিকল্পনা করা হয়েছে।"

মমতা তাঁর জনসভা থেকে বলেন, "আমরা উত্তরবঙ্গে 'চা সুন্দরী' প্রকল্প নিয়েছি। এখানে ৩৭০টি চা বাগানের দরিদ্র চা শ্রমিক যাদের পাকা বাড়ি নেই, তাদের আমরা পাকা বাড়ি বানিয়ে দিচ্ছি। ৭টি চা বাগানে বাড়ি বানানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। শ্রমিকদের মজুরি আমরাই বাড়িয়েছি, আরও বাড়ানোর জন্যে মলয় ঘটকরে নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। বন্ধ চা বাগানগুলোতে শ্রমিকদের আমরা ১৫০০ টাকা করে দিচ্ছি। এছাড়াও যাঁরা এখনো সরকারি প্রকল্প পান নি, তাঁরা 'দুয়ারে প্রকল্পে' গিয়ে নাম লেখান, তাঁরাও সব সুযোগ সুবিধা পাবেন।মনে রাখবেন  আমরা প্রতিশ্রুতি দিলে তা রাখি।"


এরপর মমতা বলেন, "গত লোকসভা নির্বাচনে আমরা এখান থেকে একটাও আসন পাইনি। কি অপরাধ করেছিলাম ? বিজেপি এসে সব আসন নিয়ে গেল ? আরএসএস এসে আপনাদের বুঝিয়ে দিল ? ওরা কিন্তু রামকৃষ্ণ মিশন নয়, স্বামী বিবেকানন্দ নয়। ওরা ঘৃণ্য ধর্মের লোক।  আমরা যা করে যাচ্ছি, যা কিছু করে যাব দুনিয়ার কোথাও এসব পাওয়া যাবে না।  বাংলায় ইতিমধ্যেই ৪০% দারিদ্র কমেছে।  আমরা এত কিছু করে যাচ্ছি আর বিজেপি শুধুই আমাকে গালাগালি দেয়, আমাকে মাড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। ওরা জানে আমার শরীরে পা থেকে মাথা পর্যন্ত কত আঘাত আছে ? ওদের উদ্দেশ্য বাংলার মেরুদন্ড ভেঙে দেওয়া, বাংলাকে গুজরাট বানানো। ভোটের আগে দেখবেন, টাকার প্যাকেট ঢুকছে। টাকা নিয়ে নেবেন, কিন্তু ভোটের বাক্সে ওদের উল্টে দেবেন। ওরা বলছে 'ডিসেম্বর থেকে মারব', আমি বলি অত  সোজা নয়, আমার গায়ে একটাও আঘাত এলে আমি যে প্রত্যাঘাত করব, কোটি কোটি বহিরাগত গুন্ডা এনেও আমার কিছু করতে পারবে না।  আপনারা সিপিএম-এর অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, বিজেপিকে একটুও ভয় পাবেন না।"

যে সব নেতারা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, তাঁদের সম্বন্ধে মমতা বলেন, "যারা ১০ বছর ধরে সরকারের খেয়ে ভোটের সময় দলবদল করে, তাদের আমি একদম সহ্য করি না।" মমতা বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের জন্যে কাজ করে যায়। আপনারা লড়াই করুন এবং এমন পরীক্ষা দিন যাতে বিজেপি এই রাজ্যে আর কোনোদিন পরীক্ষায় বসতে না পারে। আমি রক্তাক্ত হতে হতে রাজনীতি করা লোক আমি ভয় পাই না। আপনাদরেকেও ভয় পেলে চলবে না। আমাদের রাষ্ট্রপতি শাসনের ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। আপনারা রান্না কম করুন, দুটো পদ কম খান, কিন্তু মনে রাখবেন বিজেপিকে এই রাজ্য থেকে তাড়াতেই হবে। আজ ওরা ভয় পেয়েছে বলেই কান্নাকাটি করছে। ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু জেনে রাখবেন আগামী নির্বাচনে আমরাই জিতব, আর জিতে সেই জয় আমরা বাংলা মাকে সমর্পন করব। আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেসই গোটা দেশকে পথ দেখাবে।"

Loading...

Amazon

https://www.amazon.in/Redmi-8A-Dual-Blue-Storage/dp/B07WPVLKPW/ref=sr_1_1?crid=23HR3ULVWSF0N&dchild=1&keywords=mobile+under+10000&qid=1597050765&sprefix=mobile%2Caps%2C895&sr=8-1

Pages