আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ০৮/১২/২০২০ : উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু মনে করেন যে, কোভিড জনিত পরিস্থিতি মৎস্য ক্ষেত্র আমূল পরিবর্তনকারী হিসাবে প্রমাণিত হতে পারে। কেননা এই অতিমারি স্বাস্থ্য সম্মত আহার গ্রহণের জন্য মানুষকে সচেতন করেছে।
বিশাখাপত্তনমে আজ সেন্ট্রাল মেরিন ফিশারিজ রিসার্চ ইন্সটিটিউট এবং সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ফিশারিজ টেকনোলজির বিজ্ঞানী ও কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, মাছ প্রোটিনের একটি বড় উৎস যা মানুষকে বিশেষ করে শিশুদের অপুষ্টির হাত থেকে রক্ষা করে। এজন্য তিনি খাদ্যতালিকায় মাছকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সচেতনতা গড়ে তুলতে পুষ্টিবিদ ও বিজ্ঞানীদের আহ্বান জানান। তিনি বলেন মাছের মধ্যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা শরীর বিশেষত হূদযন্ত্রের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী ভূমিকা পালন করে। এটা সাধারন মানুষকে বোঝাতে হবে। তিনি বলেন হিমালয়ের আদিম জল থেকে শুরু করে ৮ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূল রেখা পর্যন্ত বিস্তৃত এই দেশ বিশাল জলজ সম্পদের অধিকারী। সেই জলজ সম্পদে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও প্রাণী বৈচিত্র্য রয়েছে যা বহু প্রজন্ম ধরে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে চলেছে।
উপরাষ্ট্রপতি বলেন, ভারত সারা বিশ্বে মৎস্য উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে পরিচিত। মৎস্যক্ষেত্র দেশের অর্থনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে চলেছে। এই পেশার সঙ্গে কেবল দেশের উপকূলবর্তী অঞ্চল গুলিতে ১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ জড়িত। ভারত বিশ্বে চতুর্থ মৎস্য রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিত। কাজেই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে মৎস্য ক্ষেত্র উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে। ভবিষ্যতে ভারত মৎস্য রপ্তানিকারক দেশ সারা বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উপরাষ্ট্রপতি বলেন জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রাণিজ প্রোটিনের চাহিদা বাড়তে থাকায় মাছ খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। বার্ষিক মৎস্য উৎপাদনের চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনার তিনি আহ্বান জানান।
মৎস্য ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মৎস্যসম্পদ যোজনা এবং জাতীয় মৎস্য নীতি মৎস্য ক্ষেত্রকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করবে।
Loading...