আজ খবর (বাংলা), কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ২৬/১১/২০২০ : অবিলম্বে মাঝেরহাট ব্রীজ চালু করার দাবী নিয়ে আজ তারাতালা অঞ্চলে বিক্ষোভ দেখাতে এসেছিল বিজেপি কর্মীরা। সেই বিক্ষোভ কর্মসূচীকে নেতৃত্ব দিতে এসেছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।বিনা অনুমতিতে বিক্ষোভ দেখানোর জন্যে পুলিশ সেই বিক্ষোভে বাধা দিতেই বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের একরকম ধ্বস্তাধস্তি লেগে গিয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে মৃদু লাঠিচার্জও করেছিল।
বিজেপির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে পুলিশ আটক করেও ছেড়ে দেয়। আজ সন্ধ্যেবেলায় বিজেপির এই বিক্ষোভ কর্মসূচীর পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকেরাও পাল্টা মিছিল করেন তারাতলা অঞ্চলে। তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য ছিল, মাঝেরহাট ব্রীজ তৈরি করতে ৯ মাস দেরি হয়েছে রেল এই প্রকল্প আটকে রাখার জন্যে , আর তিন মাস দেরি হয়েছে লক ডাউনের কারণে। যদি দেখতেই হয়, যেমনটা মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন, প্রায় এক বছরের মধ্যেই মাঝেরহাট ব্রীজের কাজ শেষ করা হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, 'বিজেপি সমর্থকদের উচিত ছিল রেল দপ্তরের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানো, তা না করে তারা মাঝেরহাট ব্রীজে এসে বিক্ষোভ দেখিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে। যাদের জন্যে এই প্রকল্প শেষ করতে দেরি হয়েছে, বিজেপি তাদেরকে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাক। শুধু তাই নয়, গতকালই রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সাংবাদিকদের তো জানিয়েই দিয়েছিলেন, আগামী মাসের প্রথম দিকেই খুলে দেওয়া হবে মাঝেরহাট ব্রীজ, সেইদিন তো আসন্ন, তাহলে কেন বিজেপি মাঝেরহাট ব্রীজ অবিলম্বে খুলেদেওয়ার জন্যে অযথা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে? এই ধরনের বিক্ষোভ দেখিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলা যায় না।' আজ শ্বেহালা অঞ্চলের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন পার্থ চ্যাটার্জি ও অন্যান্য নেতা নেত্রীরা।