আজ খবর (বাংলা), ইন্দোর, মধ্যপ্রদেশ, ১৩/১১/২০২০ : জামিন পেলেন না কম্পিউটর বাবা, উল্টে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় তাঁর নামে মামলা করে তদন্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারক।
আতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত জানিয়েছেন, "কম্পিউটর বাবার বিরুদ্ধে আমরা নতুন মামলা করে তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছি। গতকাল গ্রেপ্তার করেছিলাম। আজ তিনি আবেদন করেছিলেন। কিন্তু মাননীয় বিচারক তাঁর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কম্পিউটার বাবার বিরুদ্ধে তদন্ত করে দেখছি।"
কম্পিউটর বাবার আসল নাম নামদেব ত্যাগী। তিনি মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং মন্ত্রীসভার একজন মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই ২০১৮ সালে তিনি শিবরাজ সিংহের মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তাঁর অসাধারন স্মৃতিশক্তি দেখে তাঁকে ১৯৯৮ সালে নরসিংপুরের এক সাধু কম্পিউটর বাবা নাম দিয়েছিলেন। তখন থেকেই তিনি কম্পিউটর বাবা নামে প্রসিদ্ধি পেতে থাকেন। জুটে যায় বেশ কিছু ভক্ত। তিনি একজন পরিবেশবিদ হিসেবে কাজ করতে থাকেন, কংগ্রেস নেতা কমলনাথা তাঁকে মা নর্মদা, মা শিপ্রা ও মা মন্দাকিনী ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেছিলেন। এরপর থেকে তিনি কংগ্রেসকেই সমর্থন জানাতেন। রাজনীতিতে তাঁর সক্রিয় যোগাযোগ রয়েছে।তবে বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর পরিমানে বৃক্ষ রোপন করে একজন পরিবেশবিদ হিসেবে তিনি সংবাদ শিরোনামে চলে এসেছিলেন।
কিছুদিন আগে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ কম্পিউটর বাবার অম্বিকাপুরী মন্দিরের বৈধ সম্পত্তি ভেঙে দেয় এবং সুপার করিডর এলাকা দখল নিয়ে নেয়. এই সময় কমিউটার বাবা এবং তাঁর ভক্তের দল পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং পুলিশের সাথে ধ্বস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পারেন। এই ঘটনায় কম্পিউটর বাবার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ গতকাল তাঁকে গ্রেপ্তার করে তুলে নিয়ে আসে. এই মামলায় কম্পিউটর বাবার বেশ কিছু ভক্তকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে.তাঁদেরকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
কম্পিউটর বাবাকে গ্রেপ্তার করায় কংগ্রেস প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং বলেছেন, "কম্পিউটার বাবাকে গ্রেপ্তার করে খুব অন্যায় কাজ করেছে রাজ্য সরকার। এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘটনা।" এখন পুলিশ কম্পিউটার বাবার বিভিন্ন সম্পত্তি ও আর্থিক লেনদেন নিয়ে তদন্ত করছে। গতকালই মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা জিতু পাটোয়ারী জেলে গিয়ে কম্পিউটর বাবার সাথে দেখা করে এসেছেন। আজ ভাবা হয়েছিল কম্পিউটর বাবা হয়ত জামিন পেয়ে যাবেন, কিন্তু আদালত তাঁর জামিনের আর্জি নামঞ্জুর করে দিল.