আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ৩০/১১/২০২০ : দেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্দ্ধন আজ জানালেন আগামী জুলাই-অগস্ট মাসে দেশের ৩০ কোটি মানুষকে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে।
এই প্রথম দেশের মানুষ জানতে পারল জনসাধারণকে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্র সরকার ঠিক কি ভাবছে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের টিকাকরন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ,মুখ্যমন্ত্রীদেরকে নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীরা তেমন করে কিছুই খোলসা করে বলেন নি সাধারণ মানুষকে। এই প্রথম ডক্টর হর্ষবর্দ্ধন দেশের মানুষকে জানালেন, 'আগামী বছরের সপ্তম বা অষ্টম মাসে দেশের ১৩০ কোটি মানুষের মধ্যে ৩০ কোটি মানুষকে কোরোনার টিকা দেওয়া হবে।' বাকি ১০০ কোটি মানুষকে এই টিকা কবে দেওয়া হবে, সেই ব্যাপারে অবশ্য তিনি কিছু জানান নি।
এর আগে বলা হয়েছিল, দেশের প্রত্যেক মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে টিকা নিতে হবে। প্রথমে দেওয়া হবে সেইসব মানুষকে যাঁরা করোনা অতিমারীর দিনগুলিতে একেবারে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে করোনা আক্রান্ত মানুষের সেবা করেছেন, তারপর দেওয়া হবে পিছনের সারিতে দাঁড়িয়ে যাঁরা করোনা পীড়িত মানুষের সেবা করেছেন এবং তারপর দেওয়া হবে দেশের বয়স্ক মানুষদের এবং তারপর বাকিদের। কিন্তু সেভাবে দেওয়া হলে দেশের সব মানুষকে কোরোনার টিকা দিতে অনেক সময় লেগে যেতে পারে। ধরা যাক, কোনো বাড়িতে যদি একজন বয়স্ক মানুষ থাকেন, তাহলে কি সেই বাড়িতে একাধিকবার সরকারি টিকাদাতারা টিকা দিতে যাবেন ? এতে সময় লেগে যেতে পারে অনেক বেশি।
ডক্টর হর্ষবর্দ্ধন দেশের মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, "যতদিন না দেশের প্রত্যেক মানুষকে কোরোনার টিকা দেওয়া সম্পন্ন হচ্ছে, ততদিন সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, সকলেই যেন মুখে মাস্ক ব্যবহার করেন, স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন। সবাই যেন বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলেন এবং নিজেদের মধ্যে অবশ্যই যেন সামাজিক দূরত্ব পালন করেন।" খুব শীঘ্রই ফের একবার বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে প্রধানমন্ত্রী করোনার টিকাদানের বিষয়ে কথা বলতে পারেন বলে জানতে পারা গিয়েছে।