পাকিস্তানের শেলিংয়ের পাল্টা দিচ্ছে ভারতীয় সেনাও |
আজ খবর (বাংলা), শ্রীনগর, জম্মু ও কাশ্মীর, ১৬/১১/২০২০ : জম্মু ও কাশ্মীরের 'লাইন অফ কন্ট্রোলের' ওপারে প্রতিটি লঞ্চ প্যাডে ২৫০ থেকে ৩০০ জঙ্গী ভারতে অনুপ্রবেশ করার জন্যে প্রস্তুত হয়ে আছে বলে জানিয়ে দিল ভারতীয় সেনাবাহিনী।
আর কিছুদিনের মধ্যেই গোটা কাশ্মীর উপত্যকা বরফের চাদরে ঢাকা পড়ে যাবে, সেই সময় দুর্গম পাহাড়ের কিনারা ধরে ভারতে অনুপ্রবেশ প্রায় অসম্ভব , তাই বরফ পড়ার আগেই যত বেশি সম্ভব জঙ্গিদেরকে ভারতের মধ্যে অনুপ্রবেশ করিয়ে দিতে একরকম মরিয়া প্রচেষ্টা চালাতে চাইছে পাকিস্তান। সেই কারণেই লাইন অফ কন্ট্রোলের ওপারে প্রত্যেক লঞ্চ প্যাডে ২৫০ থেকে ৩০০ জঙ্গীকে প্রস্তুত রেখেছে পাকিস্তান। প্রায় প্রত্যেক দিন পাক সেনা সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলি চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ব্যস্ত রেখে চুপিসারে জঙ্গিদেরকে ভারতে অনুপ্রবেশ করিয়ে দেওয়া যায়।
বাইরে শেলিং চলছে |
আজ বিএসএফ জেনারেল রাজেশ মিশ্র বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন, "আমাদের কাছে খবর আছে যে সীমান্তের ওপারে পাকিস্তান প্রত্যেক লঞ্চ প্যাডে অন্তত ২৫০ থেকে ৩০০ জঙ্গীকে ট্রেনিং দিয়ে প্রস্তুত করে রেখেছে, যাতে তাদের ভারতে অনুপ্রবেশ করিয়ে দেওয়া যায় এবং তারা পরিকল্পনামাফিক ভারতে নানারকম নাশকতা চালিয়ে যেতে পারে।"
রাজেশ মিশ্র আজ বলেন, "গত কয়েকদিন ধরেই এই জঙ্গীদের অনুপ্রবেশ নিশ্চিত করার জন্যে সীমান্তের ওপার থেকে পাক সেনাবাহিনী অবৈধভাবে বিনা প্ররোচনায় গোলাগুলি চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে ভারতীয় সেনার কিছু ক্ষতি অবশ্যই হচ্ছে, তবে তার চেয়েও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সীমান্ত অঞ্চলে থাকা সাধারণ মানুষ। তাঁদের জীবন ও জীবিকা দুই ক্ষতির মুখে পড়েছে। অনেক সাধারণ মানুষ মারাও গিয়েছেন, অনেকের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।"
পাক মর্টারের খোল দেখাচ্ছেন জনৈকা গ্রামবাসী |
প্রাণ হারাতে হয়েছে ভারতীয় সেনা জাওয়ানদেরকেও। গত ১৩ তারিখেই উরি সেক্টরে দুই বিএসএফ জওয়ান এবং গুৱেজ সেক্টরে এক জওয়ানকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তবু সর্বশক্তি দিয়ে জওয়ানরা অনুপ্রবেশ আটকেছেন। পাকিস্তান শত চেষ্টা করেও ভারতে জঙ্গী অনুপ্রবেশ করাতে পারেনি। বার বার ভারতীয় জওয়ানদের বীরত্বের কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান।