![]() |
দারুল উলুম হাক্কানি সেমিনারি |
আজ খবর (বাংলা), পেশোয়ার, পাকিস্তান, ২২/১১/২০২০ : পাকিস্তানের বেশ কিছু মাদ্রসায় শেখানো হচ্ছে চরমপন্থা বা উগ্রবাদ। পাকিস্তানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় জেহাদি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবেও বেশ কুখ্যাতি কুড়িয়েছে।
পাকিস্তানের পেশোয়ারের ৬০ কিলোমিটার পূর্বে আকোরা খাট্টাক নামে একটি জায়গায় রয়েছে দারুল উলুম হাক্কানিয়া সেমিনারি বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়টিই জেহাদি তৈরি করার কারখানা হয়ে উঠেছে। এখান থেকেই তৈরি হচ্ছে জঙ্গীও। বেশ কিছু চরমপন্থী রাজনৈতিক নেতাও এখানে শিক্ষাদান করছেন। আর ছাত্ররা হয়ে উঠছে জেহাদি এবং জঙ্গী। এখন থেকে পাস করে চরমপন্থী পড়ুয়ারা জঙ্গী শিবিরেও যোগ দেয় বলে জানা গিয়েছে।
অনেক সময় এখানকার পড়ুয়ারা এমন কিছু কাজকর্ম করে ফেলে, যা বুমেরাং হয়ে ওঠে পাকিস্তানের কাছেও। যেমন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে যে আত্মঘাতী জেহাদি আক্রমন করে হত্যা করেছিল, সেই জেহাদি ছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র। এই জেহাদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ক্রমেই মাথাব্যথা হয়ে উঠছে অন্যান্য দেশের কাছেও।
সম্প্রতি আফগানিস্তান থেকে ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে আমেরিকা, শূন্যস্থান পূরণ করতে আফগানিস্তানা সেইসব জায়গায় সেনা নিয়োগ করছে যেখান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হচ্চ্ছে। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের তরফ থেকে আফগানিস্তানের শত্রু তালিবানদের সমর্থন দিচ্ছে এই জেহাদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রেরা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রেরাই এরপর আফগানিস্তান অথবা ভারতের সীমান্তে এসে জঙ্গী লঞ্চ প্যাডে এসে নাশকতার পাঠ নেবে হাতে কলমে। এই পড়ুয়ারাই তৈরি হতে চলেছে আগামী দিনের কুখ্যাত জঙ্গী, যারা হয়ত গোটা বিশ্বে নাশকতা করে বেড়াবে। কেননা পাকিস্তান তাদের ভূখণ্ডে ছোটবেলা থেকেই মগজ ধোলাই করে জঙ্গী তৈরি করে চলেছে। পাকিস্তানের উচিত বিশ্ব স্বার্থ মাথায় রেখে অবিলম্বে এই মাদ্রাসা এবং জেহাদি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া। না হলে তা গোটা পৃথিবীর কাছেই এই জেহাদি মাদ্রসাগুলি বা বিশ্ববিদ্যালয় বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াবে।