আজ খবর (বাংলা), কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ০৫/১১/২০২০ : রাজ্যবাসীর কাছে জোড়া সুখবর এই যে, আগামী সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে চলতে শুরু করবে লোকাল ট্রেন। দ্বিতীয় খবরটি হল, এই বছর কালী পূজায় কোনো রকম বাজী কেনা বেচা এবং ব্যবহার নিষদ্ধ করেছে আদালত।
করোনা আবহে দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যে লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখা হয়েছিল। আজ নবান্নে রেলের কর্তাদের সাথে দ্বিতীয়বার বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে তিনি বলেন, "কম ট্রেন চালালে ভীড় বেশি হবেই, তাই একেবারে কম ট্রেন চালালে চলবে না।" বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগামী সপ্তাহের বুধবার থেকে রাজ্যে লোকাল ট্রেন চলতে শুরু করবে। তিনটি ডিভিশনে মোট ৩৬২টি ট্রেন চালানো হবে। এর মধ্যে শিয়ালদহ ডিভিশনে চলবে মোট ২২৮টি ট্রেন, হাওড়া ডিভিশনে চলবে মোট ১০০টি ট্রেন আর খড়্গপুর ডিভিশনে চলবে মোট ৩৪টি ট্রেন।
আগামী মঙ্গলবারের মধ্যেই তিনটি ডিভিশনের রেল কর্তারা স্টেশনগুলি সহ নিজেদের ডিভিশণগুলি পরিদর্শন করে নেবেন। কিভাবে টিকিট দেওয়া হবে সেগুলির সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে নেবেন। ট্রেনের কামরাগুলোকে স্যানিটাইজ করা হবে নিয়মিত। লোকাল ট্রেনের যাত্রীদেরকে স্বাস্থ্য বিধি পালন করতে হবে কঠোরভাবে। মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়েছেন, "যাতে কোনোভাবেই ট্রেন চলাচল শুরু হলেও করোনা সংক্ৰমন ছড়িয়ে না পড়ে"।
আজ সেইসঙ্গে আতশবাজী পোড়ানোর ব্যাপারে এবং কালীপূজা, জগদ্ধাত্রী পূজা এবং কার্তিক পূজা নিয়ে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। এ বছর করোনা আবহে দুর্গাপূজার মতই কালিপূজাতেও সব রকম সতর্কতা বজায় রাখতে হবে। পূজা মণ্ডপে কোনো দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবে না। কালী পূজার মণ্ডপেও এ বছর নো এন্ট্রি বোর্ড লাগানো থাকবে। এমনকি ঢাকিরাও মণ্ডপের বাইরে থাকবেন। প্রত্যেককেই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং কমিটিগুলিকে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটাইজার রাখতে হবে। দুর্গাপূজায় পুলিশ খুব ভাল কাজ করেছে বলে হাইকোর্ট জানিয়েছে। তাই এ বছর কালী পূজা, জগদ্ধাত্রী পূজা এবং কার্তিক পূজাতেও বিধি নিষেধ বলবৎ থাকবে। মণ্ডপগুলিতে ভীড় সামাল দেবে পুলিশ।
আতশবাজী করোনা রোগীদের জন্যে মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে, তবে শুধু করোনা রোগীরাই নন, আতশ বাজী মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে শিশু, বয়স্ক এবং হৃদরোগীদের জন্যেও, তাই এ বছর আতশবাজী নিষিদ্ধ করার জন্যে হাইকোর্টে আবেদন জমা পড়েছিল। আজ হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, এ বছর আতশবাজীর ক্রয়, বিক্রয় ও ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। এই রাজ্যের প্রায় ৩১ লক্ষ মানুষ বাজী শিল্পের সাথে জড়িত। এই সিদ্ধান্তের ফলে তাঁরা বিপাকে পড়লেও শব্দ বাজীর দাপটে এতদিন অগণিত মানুষ বেশ বিপাকে পড়তেন, এ বছর তা থেকে তাঁরা রেহাই পেলেন। শুধু তাই নয়, প্রতি বছর শব্দ ও আলোর দাপটে প্রচুর সংখ্যক পাখী ও পশুরা আতঙ্কে ভুগত, মারাও যেত। এই বছরের মত রেহাই পেল তারাও।
ছট পূজা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয় নি উচ্চ আদালত। আগামী ১০ তারিখে ছট পূজা নিয়ে শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে হাইকোর্ট সূত্রে।