আজ খবর (বাংলা), ইসলামাবাদ, পাকিস্তান, ২৪/১/২০২০ : আজ পাকিস্তানের একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুললেন।
পাকিস্তানে রাজনৈতিক অশান্তি চরমে উঠেছে, এর মধ্যেই পাকিস্তানের এক প্রাক্তন সেনা আধিকারিক অভিযোগ করলেন যে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল তাঁর পাকিস্তানে থাকা ভারতীয় এজেন্টদেরকে দিয়ে এমন কিছু কাজকর্ম করাচ্ছেন, যাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর লক্ষ কাশ্মীর ইস্যু থেকে সরে গিয়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইস্যুগুলিতেই বিন্যস্ত থাকে। অজিত ডোভাল নাকি এমন কিছু কাজ করে চলেছেন, এমনভাবে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন, যাতে পাক সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ এবং মনসংযোগ কাশ্মীর ইস্যু থেকে সরে গিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিতেই থাকে।
পাকিস্তানের প্রাক্তন ভাইস মার্শাল শাহজাদ চৌধুরী তাঁর Doval's Dirty War (ডোভালের নোংরা যুদ্ধ) বইতে লিখেছেন, কিভাবে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ভারতে বসেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মনোসংযোগ নষ্ট করে দিচ্চ্ছে, কিভাবে পাক সেনাবাহিনীকে তিনি কাশ্মীর ইস্যু থেকে নজর সরিয়ে পাক রাজনীতির দিকে ঠেলে দিতে বাধ্য করছেন।ডোভালের এই খেলাটিকেই তিনি নাম দিয়েছেন 'ডোভালের নোংরা যুদ্ধ', আর তা নিয়েই তিনি একটি বই প্রকাশ করে ফেলেছেন।
শাহজাদ তাঁর লেখা বইতে লিখেছেন, ভারতে থেকেও কিভাবে অজিত ডোভাল পাকিস্তানের আদিবাসী মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে চলেছেন, বিশেষ করে বালুচিস্তানের সাধারণ মানুষকে রাজনীতির দিকে প্রেরণ করছেন। যাতে এঁরা পাকিস্তানের রাজনীতিও নিয়েই থাকেন। শুধু তাই নয় এই আদিবাসী মানুষকে তিনি ভারতে বসেই এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন যাতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীও কাশ্মীর ইস্যু ভুলে পাকিস্তানের রাজনীতি নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকে। এইসব কারণেই পাকিস্তানে ইমরান সরকারের ওপর প্রতিদিন চাপ বেড়ে চলেছে। এইসব চাপের পিছনে আছেন ভারতের অজিত ডোভাল, এমনটাই অভিযোগ করতে চেয়েছেন প্রাক্তন পাক সেনা অফিসার শাহজাদ চৌধুরী।
অজিত ডোভাল দীর্ঘদিন ভারতের গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেছেন, দীর্ঘদিন 'র'-এর আধিকারিক হিসেবে কাজ করেছেন। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর এখনো যে সেখানে বড়সড় হাঙ্গামা হয় নি, তার পিছনেও আছে ডোভালের দুর্দান্ত গোপন নেটওয়ার্ক। ভারতীয় সেনাবাহিনীকেও তিনি জুগিয়ে চলেছেন বিভিন্ন গোপন তথ্য। এই মুহূর্তে তিনি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। একজন মন্ত্রীর সমান সন্মান এবং সুযোগ সুবিধা পান তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অত্যন্ত বিশ্বাসভাজন এবং কাছের মানুষ তিনি। ভারতের যে কোনো নিরাপত্তাজনিত সমস্যায় তিনিই সমাধানসূত্র খুঁজে নিয়ে আসেন অবলীলায়।