আজ খবর (বাংলা), শ্রীনগর, জম্মু ও কাশ্মীর, ১৯/১১/২০২০ : কিছুদিন পরেই জম্মু ও কাশ্মীরে ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের নির্বাচন আছে, সেই নির্বাচনে পাকিস্তান নানাভাবে নাক গলাতে চাইছে এবং নানাভাবে ঝামেলা পাকাতে চাইছে বলে অভিযোগ করছে কাশ্মীর জোন পুলিশ।
আজ জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরোটা এলাকায় চার জঙ্গীকে খতম করার পর কাশ্মীর জোন পুলিশের ইন্সপেক্টার জেনারেল বিজয় কুমার বলেন, "গত কয়েকদিন ধরে পাকিস্তান সীমান্ত দিয়ে অনেক বেশি পরিমাণে জঙ্গী পাঠাতে শুরু করে দিয়েছে।এই সব জঙ্গীদের আসল উদ্দেশ্য হল আসন্ন ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্টের নির্বাচনকে বিগ্নিত করা অথবা প্রভাবিত করা।. কাশ্মীর উপত্যকায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং কাশ্মীর জোন পুলিশ সম্মিলিতভাবে খুব ভাল কাজ করছে। আজকেই আমরা নাগরোটায় চার জঙ্গীকে শেষ করে দিয়েছি। "
বিজয় কুমার আরও বলেন, "ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীদের আমরা কড়া সুরক্ষা দিচ্ছি। আমরা এই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্যে যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা নির্বাচন প্রার্থীদেরকে সুরক্ষিত জায়গায় রেখেছি। তাঁরা যখন নির্বাচনের প্রচারে যাচ্ছেন, তখন আমরা তাঁদেরকে দ্বিগুন এসকর্ট দিচ্ছি। আমরা জানি এই মুহূর্তে সীমান্তে ২৫০ থেকে ৩০০ জঙ্গী ভারতে অনুপ্রবেশ করার জন্যে প্রস্তুত হয়ে অপেক্ষা করছে, কিন্তু ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী সে সব সামলে নেবে।"
জাম্মুও কাশ্মীরে ডিস্ট্রিট ডেভেলপমেন্ট নির্বাচন রয়েছে নভেম্বরের ২৮ তারিখ থেকে ডিসেম্বরের ১৯ তারিখ পর্যন্ত। ওই নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হবে ডিসেম্বরের ২২ তারিখে। ইতিমধ্যেই জম্মু জোন পুলিশের আইজি মুকেশ সিং বলেন, "এমনটা হতেই পারে যে, জঙ্গীরা বড়সড় কোনো আক্রমন বা নাশকতার পরিকল্পনা করছে। আমরাও অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি। তবে জঙ্গীরা নির্বাচনের সময় নির্বাচন কেন্দ্রে বা অন্য কোথাও বড়সড় আক্রমন চালানোর পরিকল্পনা করে থাকতে পারে।"
গতকাল মাঝরাত্রে পুলিশ দেখে যে, নাগরোটা এলাকায় একটি ট্রাক করে কিছু লোক আসছে। এরপরেই ৪:২০ মিনিট নাগাদ ট্রাকটি এসে দাঁড়ায় একটি টোল গেটে। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ চ্যালেঞ্জ জানায় ট্রাকটিকে, আর তখনি ধুন্ধুমার গুলির বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে সিআরপিএফ-এর ১৬০ ও ১৩৭ ব্যাটালিয়ানের জওয়ানরা, সাথে জম্মু ও কাশ্মীর জোন পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রূপ পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। শুরু হয়ে যায় তুমুল গুলির লড়াই। ৩ ঘণ্টা এনকাউন্টার চলে এবং নিরাপত্তা বাহিনী ৪ জঙ্গীকে গুলি করে মারে। ট্রাকচালক পালিয়ে যায়, তার খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। ট্রাক থেকে মোট ১১টি এ কে ৪৭ স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, ৩টি পিস্তল এবং ২৯টি গ্রেনেড সহ অন্যান্য ডিভাইস পাওয়া গিয়েছে। বিধ্বস্ত ট্রাকটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।