মুজাফ্ফরাবাদে কালা দিবসে মানুষের জোয়ার |
আজ খবর (বাংলা), মুজাফ্ফরাবাদ, পাক অধিকৃত কাশ্মীর, ২৩/১০/২০২০ : পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ব্যাপক জনরোষ দেখালেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তর্গত মুজাফ্ফরাবাদের অসংখ্য মানুষ। গতকালের দিনটাকে তাঁরা 'কালা দিবস' হিসেবে পালন করলেন।
পাকিস্তানের ছায়া যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল 'কালা দিবস' পালন করে প্রতিবাদ জানালেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফ্ফরাবাদের মানুষ। গতকাল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ পালন করেছে 'কালা দিবস'। পাকিস্তানের প্রতি তারা নিজেদের ক্রোধ আর ঘৃণা বর্ষণ করেছে। তারা শপথ নিয়েছে পাকিস্তানের ছায়া যুদ্ধ আর নোংরা রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার।
কি ঘটেছিল 'কালা দিবসে' ? ১৯৪৭ সালের ২২শে অক্টবর তারিখে পাকিস্তানের সেনারা জম্মু ও কাশ্মীর আক্রমন করেছিল অন্যায়ভাবে। আক্রমণকারী পাক সেনাগুন্ডাদল ব্যাপক অত্যাচার চালিয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের ওপর. হাজার হাজার মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। অসংখ্য কাশ্মীরি মহিলাকে ধর্ষণ করে বিক্রি করে দিয়েছিল পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে। পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীর দখল করতে চেয়েছিল। এরপরই কাশ্মীরের রাজা হরি সিংহের অনুরোধে ভারতীয় সেনাবাহিনী জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছিল পাক সেনাকে। পাক সেনাদের সেই বর্বর অত্যাচারকে এখনো ভুলে যায় নি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ। তাই তারা অক্টবরের ২২ তারিখটিকে 'কালা দিবস' হিসেবে পালন করে।
জাপানের টোকিওতে পাক দূতাবাসের সামনে কালা দিবস |
মুজাফ্ফরাবাদের প্রতিবাদীরা গতকাল জানিয়েছেন, "পাকিস্তানের সেনাদল এখনো তাদের ওপর অন্যায়ভাবে জুলুম করে চলেছে। অত্যাচার করছে। যখন তখন তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে দিচ্ছে। ভারতের সাথে পাকিস্তানের ছায়া যুদ্ধে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সাধারণ মানুষকে। তাঁরা পাকিস্তানের এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছেন প্রতি বছর। তাঁরা পাকিস্তান থেকে মুক্তি চান। পাকিস্তানের সাথে আর থাকতে চান না। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অধিকাংশ মানুষ ভারতের সাথে যুক্ত হতে আগ্রহী।"
গতকাল শুধুই পাক অধিকৃত কাশ্মীরেই কালা দিবস পালন হয় নি, গতকাল কালা দিবস পালিত হয়েছে বিশ্বের আরও কিছু শহরেও। গতকাল জাপানের টোকিওতেও পাকিস্তান দূতাবাসের সামনেও কালা দিবস পালিত হয়েছে। ৭৩ বছর আগে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা, অসংখ্য রমনীকে ধর্ষণ করে বিক্রি করে দেওয়া, শত শত শিশুকে মেরে ফেলার দায় পাকিস্তান কোনোদিনই এড়াতে পারে না। বিশ্বের দরবারে তাদের মুখ আরও কালো হয়ে যায়।