আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ২০/১০/২০২০/ : এখনো শীতকাল আসেনি, সেভাবে কুয়াশাও চাদর বিছিয়ে দেয়নি দিল্লীর আকাশে, তবু উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়া দূষণের জন্যে এখনই নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছে দিল্লীবাসীদের।
এতদিন ধরে কোরোনার জোরালো থাবার দাপটে শ্বাসকষ্টে ভুগতে হয়েছে দিল্লীবাসীকে, আর এখন দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার জন্যে শ্বাসকষ্টে ভুগতে হচ্ছে রাজধানীর সাধারণ মানুষকে। গত কয়েক সপ্তাহে দিল্লীতে দূষণের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। এখন থেকেই নিঃশ্বাস নিতে গিয়ে হাঁসফাঁস করছেন সাধারণ মানুষ, আর কিছুদিন বাদেই শীতকাল এসে পড়বে, তখন দিল্লীর আকাশে বাতাসে কুয়াশার ঘন আস্তরণ থাকবে, আর তখন ভালভাবে শ্বাস নেওয়াটাই দুস্কর হয়ে উঠবে দিল্লীবাসীর কাছে।
দিল্লীর প্রাতঃভ্রমণকারী মানুষজন বলছেন, 'তাঁরা নিয়মিত প্রাতঃভ্রমণ করেন এবং কিছুদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে তাঁদের নিঃশ্বাস নিতে রীতিমত কষ্ট হচ্ছে। ভালভাবে নিঃশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে না। অথচ মাত্র এক মাস আগেও এই সমস্যাটা দেখা যায় নি। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, 'তাঁদের শ্বাসকষ্টের সাথে সাথে গলাও শুকিয়ে যাচ্ছে, একটু পরে পরেই জলপান করে গলা ভিজিয়ে নিতে হচ্ছে'।
যে সব মানুষ কিছুদিন আগেই করোনা রোগ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং যাঁদের এজমা জাতীয় সমস্যা রয়েছে, তাঁরা বেশ কষ্ট পাচ্ছেন দিল্লীর এই দূষণের ফলে। বিষয়টা তাঁদের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ঝুঁকির বলে জানিয়েছেন চিকিসকেরাও। বিশেষ করে শ্বাসকষ্টের রোগীদের কাছে দূষণ হল বিষ।
কিছুদিন আগেই কেন্দ্র সরকার জানিয়েছিল যে, দিল্লীর এই দূষণ এবার থেকে আর বরদাস্ত করা হবে না। দূষণ রোধে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দিল্লী সরকার জানিয়েছে,'যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দিল্লীতে দূষণ সমস্যার মোকাবিলা করা হবে এবং সেক্ষত্রে প্রতিবেশী রাজ্যগুলির সাথে বৈঠকে বসে সমস্যার সমাধান করা হবে'। দিল্লী সরকার এও জানিয়ে রেখেছে যে, 'যদি কোনো কিছুতেই কাজ না হয়, তাহলে দিল্লীতে ফের জোর-বিজোড় সংখ্যায় গাড়িগুলিকে পথে নামানো হতে পারে'। তবে প্রশ্ন উঠেছে, তাতে করে সমস্যার সমাধান হবে কি !