হাথরসে নির্যাতিতার পরিবারকে পুলিশের হুমকি, মারধর, কেড়ে নেওয়া হল মোবাইল ফোন - আজ খবর । দেখছি যা লিখছি তাই । ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম

Sonar Tori


হাথরসে নির্যাতিতার পরিবারকে পুলিশের হুমকি, মারধর, কেড়ে নেওয়া হল মোবাইল ফোন

Share This

হাথরসে নির্যাতিতার পরিবারকে পুলিশের হুমকি, মারধর, কেড়ে নেওয়া হল মোবাইল ফোন
হাথরসে  পুলিশের ব্যারিকেড 


আজ খবর (বাংলা), হাথরস , উত্তর প্রদেশ, ০২/১০/২০২০ : হাথরসের নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের মোবাইল কেড়ে নিল উত্তর প্রদেশের  পুলিশ, আজ তাঁদেরকে মিডিয়ার সাথেও কথা বলতে দেওয়া হল না।

হাথরসের নির্যাতিতাকে চার দুষ্কৃতী নির্মম অত্যাচার  করেছিল, ধর্ষণ করেছিল, জিভ কেটে দিয়ে দিয়েছিল, শিরদাঁড়া ভেঙে দিয়েছিল। যার প্রমাণ রয়েছে নির্যাতিতার ময়না তদন্তের রিপোর্টে। নিজেরদের মেয়েকে হারিয়ে তখন দিশেহারা নির্যাতিতার বাবা ও মা। কিন্তু কন্যা শোকের যন্ত্রণা যখন একটুও ফিকে হয় নি, চোখের জল যখন একটুও শুকিয়ে যায় নি, ঠিক সেই সময় তাঁদেরকে আরও একটা কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতে হল। 

মেয়ের  শেষকৃত্য করার সুযোগটুকুও দেওয়া হয় নি নির্যাতিতার পরিবারকে। রাতের অন্ধকারে  লুকিয়ে এবং গোপনে নির্যাতিতার দেহ দাহ  করে দিয়েছিল উত্তর প্রদেশের পুলিশ। সেখানে ধারে কাছেও যেতে দেওয়া হয় নি নির্যাতিতার পরিবার বা অন্য কোনো গ্রামবাসীকে। তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল মিডিয়াকেও। 

পুলিশি প্রহরায় এভাবেই  মাঠের মধ্যে দাহ করা হয়েছিল নির্যাতিতার শবদেহ 

গতকাল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী হাথরসে নির্যাতিতার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার সময় মাঝপথেই তাঁদেরকে আটকে দেওয়া হয়েছিল। সংবাদ মাধ্যমের সামনেই রাহুল গান্ধীকে ধাক্কা মেরেছিল উত্তর প্রদেশের পুলিশ। তারপর রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মামলাও করেছে পুলিশ।

আজ গোটা হাথরসে  পুলিশ ১৪৪ধারা জারি করে রেখেছে। নির্যাতিতার পরিবার মিডিয়ার সাথে কথা বলতে চেয়েছিল, সেই কারণে পরিবারের সকলের ফোন পুলিশ কেড়ে নিয়ে সুইচ অফ করে দিয়েছে। এই মুহূর্তে গ্রামের কাউকে বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না, গ্রামের বাইরে থেকে কাউকে গ্রামে প্রবেশ করতেও দেওয়া হচ্ছে না। গ্রামে যাওয়ার সব প্রবেশ পথকেই ব্যারিকেড করে আটকে রেখেছে যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ। নির্যাতিতার পরিবারের এক নাবালক ধানক্ষেতের মধ্যে দিয়ে গ্রামের বাইরে গিয়ে মিডিয়ার সাথে কথা বলতে গেলে  দ্রুত সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ। তীব্র বাদানুবাদ হয় পুলিশ ও সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের মধ্যে। শেষমেশ রণে ভঙ্গ দিয়ে পুলিশ সেখান থেকে কার্যত পালিয়ে যায়।

পুলিশের সাথে ধ্বস্তাধস্তির পর আহত রাহুল গান্ধীকে দেখছেন প্রিয়াঙ্কা 

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই গোটা দেশ জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে পুলিশ, অন্যদিকে গ্রামের মধ্যে মিডিয়ার প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। নির্যাতিতার পরিবারকে পুলিশ মারধর করেছে  এমন অভিযোগও উঠেছে। তাঁদের বাড়ি ঘিরে রেখেছে অন্তত ২০০ পুলিশ। কাউকেই নির্যাতিতার পরিবারের সাথে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি মিডিয়ার সাংবাদিকদের দিকেও লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে গিয়েছে উত্তর প্রদেশের পুলিশ। 

এদিকে হাথরসে গিয়ে নির্যাতিতার গ্রামের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করার জন্যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাকে  গ্রেপ্তার করেছে উত্তর প্রদেশের পুলিশ যার প্রতিবাদে অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্না জেলার উনগুতুরু মন্ডল গ্রামের কাছে জাতীয় সড়ক অবরোধ করছে কংগ্রেস।  শিবসেনা বিধায়ক প্রতাপ সারনায়েক মহারাষ্ট্রের  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, "মুম্বই পুলিশের একটি দল উত্তর প্রদেশের হাথরসে  পাঠিয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত করা হোক। কেননা যোগীর পুলিশ হাথরস  কাণ্ডে  স্বচ্ছভাবে এবং নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করছে না।"  তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরাও  আজ আলাদা আলাদাভাবে দিল্লী থেকে হাথরসে  নির্যাতিতার পরিবারের সাথে দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন। তৃণমূল সাংসদদের দলটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সাংসদ ডেরেক  ও ব্রায়েন। কিন্তু তাঁদেরকেও মাঝপথে আটকে দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পারা গিয়েছে।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কেন এইরকম সক্রিয়ভাবে গোটা ব্যাপারটিকে আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে উত্তর প্রদেশের পুলিশ?  ঠিক কোন বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে মিডিয়াকেও গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ ? তাহলে সেখানে কি এমন কিছু প্রমান বা তথ্য রয়েছে যা লোপাট করতে সময় নিচ্ছে যোগীর পুলিশ ?  কেনই বা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করতে চাইছেন যোগী আদিত্যনাথ?  নির্যাতিতার পরিবারকে কেন আক্রান্ত হতে হবে পুলিশের কাছে ? কেন বার বার তাঁদের পরিবারকে হুমকি দিতে চাইছে পুলিশ ? কি গোপন করতে চাইছে পুলিশ ? কি প্রকাশ্যে এসে গেল ভাবমূর্তি নষ্ট হবে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ?  কাকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে?

হাথরসের গ্রামবাসিরা বলছেন, "আজ গ্রামে এত পুলিশ রয়েছে, কিন্তু সেদিন যদি গ্রামে সামান্য পুলিশও থাকত তাহলে গ্রামের একটি মেয়েকে ধর্ষিত হতে হত না, তাকে প্রাণ বিসর্জনও দিতে হাত না।"


Loading...

Amazon

https://www.amazon.in/Redmi-8A-Dual-Blue-Storage/dp/B07WPVLKPW/ref=sr_1_1?crid=23HR3ULVWSF0N&dchild=1&keywords=mobile+under+10000&qid=1597050765&sprefix=mobile%2Caps%2C895&sr=8-1

Pages