আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ১৬/০৯/২০২০ : জম্মু ও কাশ্মীর তো বটেই, গোটা দেশেই জঙ্গী হানার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে গত বছর জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর। আজ রাজ্যসভায় এই কথা জানালেন জম্মু ও কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মন্ত্রী জি কিষেন রেড্ডি।
আজ রাজ্য সভায় প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর কতগুলো জঙ্গী হানার ঘটনা ঘটেছে উপত্যকায় ? সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আজ লিখিতভাবে জি কিষেন রেড্ডি বলেন, "জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা অবলুপ্তির পর থেকে দেশে জঙ্গী হানার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে কিছু ঘটনা ঘটলেও গোটা দেশে সেভাবে আর বড়সড় জঙ্গিহানার ঘটনা ঘটে নি।"
জি কিষেন রেড্ডি এরপর বিস্তারিতভাবে বলেন, "জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ৫ই আগস্ট তারিখে, তারপর একটি বছর কেটে গিয়েছে। ২০১৯এর ৫ই আগস্টের আগে, ২৯/০৬/২০২৮ থেকে ০৪/০৮/২০২৯ পর্যন্ত ৪০২ দিনে দেশে জঙ্গী হানার ঘটনা ঘটেছিল মোট ৪৫৫টি। সেখানে ০৫/০৮/২০১৯ থেকে ০৯/০৯/২০২০ পর্যন্ত ৪০২ দিনে দেশে জঙ্গী হানার ঘটনা ঘটেছে মোট ২১১টি। শেষ ৪০২ দিনে দেশে কোনোরকম বড়সড় জঙ্গী হানার ঘটনায় ঘটে নি।"
কিন্তু কিভাবে এল এই সাফল্য ? সেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রেড্ডি বলেন, "দেশে জঙ্গী সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে কেন্দ্র সরকার বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। প্রথমত, কেন্দ্র সরকার জঙ্গীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছিল এবং জঙ্গীদের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব নিয়েছিল। সেদিক থেকে নিরাপত্তাবাহিনীকেও দেওয়া হয়েছিল স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা। দ্বিতীয়ত, কেন্দ্র সরকার জঙ্গীদের বিরুদ্ধে কড়া আইনও নিয়ে এসেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের সর্বত্র অত্যন্ত কড়া নজরদারি, দিনের পর দিন তল্লাশি অভিযান, নিখুঁত গোয়েন্দা অভিযান, নিরাপত্তা বাহিনীর অনমনীয় মনোভাব, কাশ্মীরে উন্নয়ন এই সব কিছু মিলিয়ে এসেছে সাফল্য।"
সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনী জম্মু ও কাশ্মীরে যে সব তরুণকে মগজধোলাই করে জঙ্গীদের দলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তাদেরকে আত্মসমর্পন করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। অনেকটা কাজ হয়েছে তাতেও। এখন আর কাশ্মীরি তরুণরা নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের দিকে পাথর ছুঁড়ে মারে না। বরং তারাই দল বেঁধে এসে চাকরির জন্যে লাইনে দাঁড়ায় শান্তভাবে। কাশ্মীরের গ্রামবাসীরা তাদের এলাকায় জঙ্গী এলে গোপনে খবর দিয়ে দেয় পুলিশকে।
Loading...