করোনা আবহে বেসরকারি হাসপাতালগুলির লাগামছাড়া বিল নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিল কেন্দ্র সরকার - আজ খবর । দেখছি যা লিখছি তাই । ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম

Sonar Tori


করোনা আবহে বেসরকারি হাসপাতালগুলির লাগামছাড়া বিল নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিল কেন্দ্র সরকার

Share This
দেশের খবর

আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ১৫/০৯/২০২০ :  করোনা আবহে  দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলো লাগামছাড়া টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছিল অনেকদিন ধরেই। এবার সেই বেসরকারি লাগামছাড়া হাসপাতালের বিলকে নিয়ন্ত্রণ করতেই উদ্যোগ নিল  কেন্দ্র সরকার। 

কোভিড-১৯ মহামারীর প্রতিরোধে সক্রিয়, যথাযথ এবং সার্বিকভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ও সামাজিক স্তরে গৃহীত সর্বাত্মক কৌশল নেওয়ায় বেসরকারী হাসপাতালগুলির বেশী অর্থ নেওয়ার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। প্রধানমন্ত্রী, উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রী গোষ্ঠী,  ক্যাবিনেট সচিব, সচিবদের কমিটি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা এই  ভাইরাসের মোকাবিলায় জনস্বাস্থ্যের বিষয়গুলির ওপর নজর রাখছে।

কেন্দ্র কোভিড-১৯ মহামারীর সংক্রমণ আটকাতে জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে  বিভিন্ন ধরণের সক্রিয়, সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিয়েছে।  ভ্রমণ সংক্রান্ত নানা পরামর্শ জারি করা হয়েছে। এই পরামর্শ পরবর্তীতে নানা সময়ে পরিমার্জিত করা হয়েছে। ২৩শে মার্চ পর্যন্ত সব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের (অর্থাৎ যতদিন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিমান দেশে আসছিল) পরীক্ষা করা হচ্ছিল। বিমান বন্দরগুলিতে ১৪ হাজার ১৫৪টি বিমানের ১৫ লক্ষ ২৪ হাজার ২৬৬ জন যাত্রীকে পরীক্ষা করা হয়। বিমান বন্দর ছাড়াও ১৬ লক্ষ ৩১ হাজার যাত্রীকে স্থল বন্দরে এবং ৮৬ হাজার ৩৭৯ জন যাত্রীকে ১২টি প্রধান এবং ৬৫টি ছোট বন্দরে পরীক্ষা করা হয়েছে। মহামারীর প্রথম পর্বে কেন্দ্র চীন, জাপান, ইরান, ইতালী এবং মালয়েশিয়ার মত কোভিড সংক্রমিত দেশগুলি  থেকে  আটকে পড়া ভারতীয়দের নিয়ে এসেছিল। আনলক পর্বে ৯ই সেপ্টেম্বরের হিসেব অনুসারে  মোট ১২ লক্ষ ৪৩ হাজার ১৭৬ জন যাত্রীকে নিয়ে আসা হয়েছে।  এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
একটি সুসংহত ব্যাধি নজরদারি ব্যবস্থাপনার সাহায্যে সংক্রমিতদের উপর নজরদারী চালানো  হয়েছে। এর আগে ভ্রমণ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে এলাকাগতভাবে নজরদারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ১০ই সেপ্টেম্বরের হিসেব অনুযায়ী মোট ৪০ লক্ষ মানুষকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতি অনুযায়ী দেশে পরীক্ষাগারের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সারা দেশে , আজ ১৬৯৭টি পরীক্ষাগারে কোভিড-১৯-এর পরীক্ষা করা যাচ্ছে। ১০ই সেপ্টেম্বরের হিসেব অনুযায়ী ৫ কোটি ৪০ লক্ষ  নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। 

১০ই সেপ্টেম্বরের হিসেব অনুযায়ী ১৫ হাজার ২৯০টি কোভিড চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে ১৩ লক্ষ ১৪ হাজার ১৭১টি আইসোলেশন বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও ২ লক্ষ ৩১ হাজার ২৬৯টি আইসোলেশন বেডে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৩২ হাজার ২৪১টি ভেন্টিলেটর বেড ও ৬২ হাজার ৬৯৪টি আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি মুর্হুতে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে পরিকাঠামো তৈরিতে বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

মন্ত্রক  ১ কোটি ৩৯ লক্ষ পিপিই কিট এবং ৩ কোটি ৪২ লক্ষ এন-৯৫ মাস্ক, ১০ কোটি ৮৪ লক্ষ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট,২৯,৭৭৯টি ভেন্টিলেটর, ১,০২,৪০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার  রাজ্যগুলি/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল/কেন্দ্রীয় সরকারী হাসপাতালগুলিকে দিয়েছে (১০ই সেপ্টেম্বরের হিসেব অনুযায়ী)।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণ করাও জরুরি। এ কারণে বিভিন্ন সংস্থা এবং দপ্তর থেকে স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মীদের নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে মানব সম্পদ বৃদ্ধির জন্য আইগট- দীক্ষা নামের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম (https://igot.gov.in/igot/) চালু করা হয়েছে। জন প্রশাসন দপ্তর এই উদ্যোগ নিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক দেশে প্রতিদিন কোভিড-১৯এর সংক্রমণের বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য দিয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের ওয়েবসাইট সহ সামাজিক মাধ্যমে প্রচার কর্মসূচি চালানো হয়। 1075 হেল্পলাইন নম্বর ব্যবহার করে শুরুর থেকে নাগরিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে।

ভারতে  ৩০টির বেশি টিকাকে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রয়োগ করা হচ্ছে। ৩টি টিকা প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্তরের অগ্রবর্তী পর্যায়ে রয়েছে। আরও ৪টির বেশি টিকা প্রাক-চিকিৎসার পর্যায়ে আছে। ৭ই আগস্ট কেন্দ্র কোভিড-১৯এর টিকা প্রয়োগের জন্য একটি জাতীয় বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী তৈরি করেছে। নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য এই কমিটির চেয়ারম্যান। এই সংক্রমণে চিকিৎসার জন্য  ১৩টি ওষুধকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সাহায্যে প্রচলিত বিভিন্ন পন্থা প্রয়োগ করা হচ্ছে।
যদিও স্বাস্থ্য রাজ্যের বিষয়, তাই কোভিড সংক্রমিতদের চিকিৎসার জন্য বসরকারী হাসপাতালগুলিকে যুক্ত করা রাজ্যের এক্তিয়ারে পরে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কাছে পরস্তাব দিয়েছে, পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে। পিএম-জেএওয়াই এবং সিজিএইচএস প্যাকেজ  অনুযায়ী চিকিৎসার মূল্য নির্ধারণের পরামর্শ ও দেওয়া হয়েছে। বেশীর ভাগ রাজ্যই সেই অনুসারে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছে।
রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে এই তথ্য জানিয়েছেন। 

Loading...

Amazon

https://www.amazon.in/Redmi-8A-Dual-Blue-Storage/dp/B07WPVLKPW/ref=sr_1_1?crid=23HR3ULVWSF0N&dchild=1&keywords=mobile+under+10000&qid=1597050765&sprefix=mobile%2Caps%2C895&sr=8-1

Pages