আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ১৬/০৯/২০২০ : এই প্রথমবার দেশের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ ও বিলের ব্যাপারে নতুন নিয়ম আনছে কেন্দ্র সরকার। নতুন নিয়ম লাগা হলে সুবিধা হবে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের।
এই প্রথমবার কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অধিকার সুরক্ষার জন্য একটি খসড়া বিধি প্রণয়ন করেছে। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে গ্রাহকরা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। গ্রাহকদের জন্যই এই ক্ষেত্রের অস্তিত্ব রয়েছে। সমস্ত নাগরিকের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি, গ্রাহক সন্তুষ্টির বিষয়টিও এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এজন্যই গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলিকে চিহ্নিত করা আবশ্যক হয়ে উঠেছে, যাতে গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার পাশাপাশি তাঁদের প্রাপ্য অধিকার ও পরিষেবা বজায় রাখা যায়।
এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই কেন্দ্রীয় সরকার প্রথমবার বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে (গ্রাহক অধিকার) বিধি, ২০২০ প্রণয়ন করেছে। এই বিধির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হল – বিদ্যুৎ বন্টনকারী সংস্থাগুলির জন্য গ্রাহক পিছু আউটেজ বা বিদ্যুৎ খরচের সময়সীমা অনুযায়ী পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ যোগান; সময়মতো বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দিতে আবেদনপত্র সরলীকরণ; মেট্রো শহরগুলিতে সাতদিনের মধ্যে, পুরসভা এলাকাগুলিতে ১৫ দিনের মধ্যে এবং গ্রামাঞ্চলে ৩০ দিনের মধ্যে নতুন সংযোগ পৌঁছে দেওয়া; ৬০ দিন বা তার বেশি বিলম্বের ক্ষেত্রে সার্ভিং বিল বা প্রদেয় মাশুলে ২-৫ শতাংশ ছাড়; মাশুল মেটানোর ক্ষেত্রে নগদ, চেক, ডেবিট কার্ড ও নেট ব্যাঙ্কিং-এর বিকল্প সুবিধা প্রদান। তবে, হাজার টাকার বেশি বিলের ক্ষেত্রে মাশুল মেটাতে হবে অনলাইনেই। বিদ্যুৎ বন্টনকারী সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে পরিষেবায় বিলম্বের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ বা জরিমানার সংস্থান; গ্রাহক স্বার্থ সুরক্ষায় ২৪X৭ টোলফ্রি কল সেন্টার; গ্রাহক অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে গ্রাহকদের মধ্য থেকে ২-৩ জন প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রভৃতি রয়েছে।
এদিকে বিদ্যুৎ মন্ত্রক গত ৯ সেপ্টেম্বর খসড়া বিধিটি জনসাধারণের মতামত / দৃষ্টিভঙ্গি জানানোর জন্য জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই বিধি সম্পর্কে মতামত বা পরামর্শ জানানো যাবে। প্রাপ্ত মতামত / পরামর্শগুলি বিবেচনায় রেখেই বিধি চূড়ান্ত করা হবে।
Loading...