আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ১৭/০৯/২০২০ : জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি)-র পক্ষ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, লকডাউনের সময় এমন কোনও তথ্য নেই, যা থেকে এই ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে সেই সময় বাল্যবিবাহের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজ্যসভায় আজ এক লিখিত জবাবে এই তথ্য দেন মহিলা ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শ্রীমতী স্মৃতি জুবিন ইরানি। তিনি আরও জানান, সরকার বাল্যবিবাহ বর্জন আইন, ২০০৬ কার্যকর করেছে। এছাড়াও, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বিভিন্ন সময় পরামর্শ দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি, বাল্যবিবাহের কু-প্রথা বর্জনে সচেতনতামূলক অভিযান, সংবাদমাধ্যমে প্রচার ও তৃণমূল স্তরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এই উদ্যোগগুলির মাধ্যমে সামাজিক এই কু-প্রথাটির খারাপ দিকগুলি জনসমক্ষে তুলে ধরা হয়ে থাকে। বাল্যবিবাহে অনুৎসাহিত করার জন্য এবং লিঙ্গ সমতা বজায় রাখতে বিশেষ করে, মহিলাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে মন্ত্রক 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' কর্মসূচি রূপায়ণ করছে। জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনও বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে বাল্যবিবাহ প্রথা বর্জনে সচেতনতামূলক অভিযান গ্রহণ করে থাকে বলেও শ্রী ইরানি জানান।