আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ২০/০৯/২০২০ : ২০১৯-২০ অর্থ বর্ষে দেশে পেট্রোলিয়াম জাত পণ্যের ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ২১৩.৭ মিলিয়ন মেট্রিকটন। তেল এবং তেলের সমতুল্য গ্যাসের উপর আমদানির নির্ভরতার হার ছিল ৭৭.৯ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের উপর শুল্ক আরোপ করে। রাজ্য সরকার ভ্যাট বা বিক্রয় কর আদায় করে থাকে। আফগারি শুল্ক একটি নির্দিষ্ট ভিত্তিতে (প্রতি লিটারে নির্দিষ্ট পরিমাণ) আদায় করা হয় এবং ভ্যাট ও বিক্রয় কর (বেশিরভাগ রাজ্য দ্বারা গৃহীত) পণ্যের আনুমানিক মান-এর উপর ধার্য করা হয়।কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক একটি আন্তঃকৌশল গ্রহণ করেছে, যার মাধ্যমে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়বে এবং অপরিশোধিত তেলের আমদানি হ্রাস পাবে। এই লক্ষ্যপূরণে জৈব জ্বালানি বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার দেশে জৈব জ্বালানির প্রাপ্যতা বাড়াতে একটি জাতীয় জৈব জ্বালানি নীতি প্রণয়ন করেছে। এর পাশাপাশি প্রাকৃতিক গ্যাস, বৈদ্যুতিক যানবাহনের চার্জিং পয়েন্টর সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । চলতি বছরের ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন সংস্থাগুলি ১১০টি খুচরো বিপণন কেন্দ্রে বৈদ্যুতিক চার্জিং সুবিধা ব্যবস্থাপনা তৈরি করেছে। এমনকি ১৭টি খুচরো বিপণন কেন্দ্রে ব্যাটারি পরিবর্তন সুবিধা কেন্দ্র গড়ে তুলেছে।
বাজারের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম নির্ধারণ করা হতো ২০১০ সালের ২৬শে জুন থেকে ২০১৪ সালের ১৯শে অক্টোবর পর্যন্ত। সেই সময় রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন সংস্থাগুলি আন্তর্জাতিক পণ্যের দাম এবং বাজারের অন্যান্য অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিতো। এখন রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন সংস্থাগুলি আন্তর্জাতিক দাম এবং টাকার বিনিময়ে ডলারের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম নির্ধারণ করছে। এতে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়েনি, বরং কমেছে।
দেশে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম আন্তর্জাতিক পণ্যের দামের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত। সাধারণত বর্তমান কর ব্যবস্থা এবং সরকারের ভর্তুকি পূরণ সহ বিভিন্ন কারণে দেশে পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি/কম থাকে।
পেট্রোল ও ডিজেলের দাম হ্রাস করা এবং গ্রাহকদের পেট্রোল-ডিজেল কেনার ক্ষেত্রে ভর্তুকি প্রদান সহ কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৭-র চৌঠা অক্টোবর থেকে পেট্রোল ও ডিজেলের উপর লিটার পিছু ২ টাকা করে কেন্দ্রীয় আফগারি শুল্ক কমিয়েছে। ২০১৮ সালের ৫ই অক্টোবর থেকে এক্ষেত্রে লিটার পিছু দেড় টাকা করে কমানো হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন সংস্থাগুলি একই সঙ্গে পেট্রোল ও ডিজেলের উপর সামগ্রিকভাবে লিটার পিছু ১ টাকা করে হ্রাস করেছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিটি রাজ্য সরকারগুলিকে পেট্রোল ও ডিজেলের উপর তাদের লাগু করে ভ্যাট কমানোর জন্য অনুরোধ করেছে। এক্ষেত্রে পেট্রোল ও ডিজেলের উপর লিটার পিছু আড়াই টাকা করে হ্রাস করতে বলা হয়েছে।
১৮টি রাজ্য সরকার এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পেট্রোল ও ডিজেলের উপর থেকে ভ্যাট কমিয়েছে।
সরকার উপভোক্তাদের সুনির্দিষ্ট মূল্যে ভর্তুকি যুক্ত গৃহস্থলির এলপিজি-র গ্যাস পৌঁছে দিতে প্রতিনিয়ত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে এলপিজি গ্যাসের দামেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এই পণ্যের দামের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে এলপিজি গ্যাসের দাম বৃদ্ধি বা হ্রাস করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ভর্তুকির পরিমাণও হ্রাস বা বৃদ্ধি করা হয়।