আসামের বাগজান তৈল শোধনাগারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ক্ষয়ক্ষতি প্রচুর - আজ খবর । দেখছি যা লিখছি তাই । ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম

Sonar Tori


আসামের বাগজান তৈল শোধনাগারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ক্ষয়ক্ষতি প্রচুর

Share This
দেশের খবর

আজ খবর (বাংলা), দিসপুর , আসাম, ১৪/০৯/২০২০ : আসামের বাগজান তৈল শোধনাগারে অগ্নিকাণ্ডের দরুণ উত্তাপ ছড়িয়ে পড়া এবং বিকট শব্দ উৎপন্ন হওয়ার কারণে আশপাশের অঞ্চলে প্রভাব পড়েছে। প্রায় ৩,০০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ পুনর্বাসন শিবিরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। 
অ্যাম্বিয়েন্ট এয়ার কোয়ালিটি (এএকিউ) পর্যবেক্ষণ এবং বায়ো রেডিয়েএশনের জন্য টিইআরআই নামে একটি সংস্থাকে নিযুক্ত করা হয়েছে। সিএসআইআর-এর আওতাধীন উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে ভূ-কম্পন সংক্রান্ত গবেষণার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে। গুয়াহাটি আইআইটি-কে তাপীয় থার্লাল ইমেজিং-এর মাধ্যমে ওই অঞ্চলে তাপের কারণ খতিয়ে দেখার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি। যদিও অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের তিন জন কর্মীর এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে।

জেলা প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির হাতে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য আইওএল জেলা প্রশাসনের কাছে ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ জমা করেছে। ৮ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দুমদুমা ও তিনসুকিয়া অঞ্চলে ২,৭৫৬টি পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৩,৬৪৫টি পরিবারের প্রত্যেককে ৩০,০০০ টাকা করে এককালীন আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য আইওএল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসনের কাছে ১০,৯৩,৫০,৫০০ টাকা জমা দিয়েছে। এছাড়াও ন্যাশনাল গ্রীণ ট্রাইব্যুনাল অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষতিপূরণ  প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে। 

আইওএল সুরক্ষা সচেতনতা, পরিদর্শন ও নিরিক্ষণ, নিরাপদ কার্যপ্রণালী, সুরক্ষা প্রশিক্ষণ, জরুরি অবস্থা মোকাবিলা, মহড়া, কর্মীদের অংশগ্রহণ, পেশাগত স্বাস্থ্য, পর্যবেক্ষণ, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম, ঠিকা কর্মীদের সুরক্ষা ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত উন্নতিসাধন করেছে।

পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক এই ঘটনার তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। যে কোনো পাইপলাইনে গ্যাস লিক হওয়ার ঘটনায় আগুন লাগার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই তৎক্ষণাৎ তেল/গ্যাস উত্তোলন কেন্দ্রগুলি বন্ধ করে দিতে হয়। লিক সারানোর পর পুনরায় ওই কেন্দ্রে তেল/গ্যাস উত্তোলনের কাজ স্বাভাবিকভাবেই করা হয়।

পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক নিয়মিত তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুরক্ষা ব্যবস্থাপনা, পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে থাকে। সময়ে সময়ে সংস্থাগুলিকে সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দিয়ে থাকে। ভবিষ্যতে যে কোনো ধরণের দূর্ঘটনা এড়াতে মন্ত্রক স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওরস  জারিও করেছে।

লোকসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এই কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

Loading...

Amazon

https://www.amazon.in/Redmi-8A-Dual-Blue-Storage/dp/B07WPVLKPW/ref=sr_1_1?crid=23HR3ULVWSF0N&dchild=1&keywords=mobile+under+10000&qid=1597050765&sprefix=mobile%2Caps%2C895&sr=8-1

Pages