আজ খবর (বাংলা), কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ০৫/০৯/২০২০ : রাজ্যের বাজারগুলিতে এখনো আলুর দাম চড়ে রয়েছে। বাজারে গিয়ে অনেক বেশি দাম দিয়েই আলু কিনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই নিয়ে ক্রমই ক্ষোভের পারদ চড়তে শুরু করেছে রাজ্যের ক্রেতাসাধারণের মধ্যে।
আজ সকাল থেকে বাজারে জ্যোতি আলুর দাম ছিল ৩৫ টাকা এবং চন্দ্রমুখী আলুর দাম ছিল ৩৮ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। গত কয়েকদিন ধরেই আলুর এই দাম নেওয়া হচ্ছে বাজারগুলিতে। কিন্তু রাজ্য সরকার জ্যোতি আলুর দাম বেঁধে দিয়েছে ২৫ টাকা কিলো এবং চন্দ্রমুখী আলুর দাম ২৮ টাকা কিলো। যদিও রাজ্য সরকার চাইছে আলুর দাম বেঁধে দিতে চাইছে ১৪ টাকা প্রতি কিলো দরে। আজ থেকেই বাজারগুলিতে রাজ্য সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে আলু বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু আজ সকালেও বাজারগুলিতে আলুর দাম কামার কোনো লক্ষণ দেখা যায় নি।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন, যাতে বাজারে আলুর দাম কমে যায়। এজন্য একটি টাস্ক ফোর্সও গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সঠিকভাবে নজরদারির অভাবে মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও বাজারে আলুর দাম কমে যাওয়ার কোনো লক্ষণ দেখাই যাচ্ছে না। অবশ্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ন্যায্য মূল্যের সরকারি দোকানগুলিতে আলুর দাম কিছুটা হলেও কমেছে।
বাজারের দোকানদারদের বক্তব্য তারা জ্যোতি আলু কিনছে ২,৭০০ থেকে ২৮০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল দরে। সেক্ষেত্রে প্রতি কিলো আলুর কেনা দাম পড়ছে ২৭/২৮ টাকা কিলো। দোকানদারদের বক্তব্য আসল লাভের গুড় খাচ্ছে হিমঘরের মালিকরা। তারা দাম কমাচ্ছে না বলেই বাজারে এখনো আলুর দাম অগ্নিমূল্য। তাছাড়া টাস্ক ফোর্সকে আরও করা নজর দারি চালাতে হবে বলে মনে করছেন বাজারে আলু ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতারাও বলছেন, সরকারি নজরদারি আরও বাড়ানোর জন্যে। মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বাজারে দাম কমছে না আলুর। তবে ক্রেতাদের বক্তব্য, বাজারে শুধু আলুই নয়, অন্যান্য সব সবজির দামই অগ্নিমূল্য। যে কোনো সবজির দাম এখন প্রায় ১০০ টাকা প্রতি কিলো ছুঁয়েছে। মাছ মাংসের দামও বেড়েছে অনেকটাই। যা ক্রমেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।