"চা বাগান শ্রমিকদের জন্যে পাকা বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে" : মুখ্যমন্ত্রী - আজ খবর । দেখছি যা লিখছি তাই । ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম

Sonar Tori


"চা বাগান শ্রমিকদের জন্যে পাকা বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে" : মুখ্যমন্ত্রী

Share This

"চা বাগান শ্রমিকদের জন্যে পাকা বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে" : মুখ্যমন্ত্রী


আজ খবর (বাংলা), শিলিগুড়ি, পশ্চিমবঙ্গ, ২৯/০৯/২০২০ : উত্তরবঙ্গ সফর করতে গিয়ে আজ উত্তরকন্যা প্রশাসনিক ভবনে  আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলা দুটিকে নিয়ে প্রশাসনের বৈঠক সেরে নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

আজ উত্তরবঙ্গের দুই জেলাকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু  সিদ্ধান্ত নিলেন এবং সেইসঙ্গে উত্তরবঙ্গে সরকারি কাজকর্ম কতটা এগিয়েছে তার খোঁজ নিলেন, যে কাজ হয় নি সেই অসম্পূর্ন  কাজের জন্যে সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে মৃদু ভর্ৎসনা করতেও দেখা গেল তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রী আজ বলেছেন, "সামনেই পুজো আসছে, তাই করোনা আবহে পুজোর সময় কোনো ঢিলেমি চলবে না। সতর্ক থাকতে হবে প্রশাসনকে, সতর্ক থাকতে হবে পুলিশকে এবং জনসাধারনকেও। পুলিশের মধ্যে করোনা সংক্ৰমন  বাড়ছে, তাই পুলিশকে সাবধানে কাজ করতে হবে। মাইল্ড সিম্পটম  হলে বাড়িতেই থাকতে হবে. রাজ্যের করোনা যোদ্ধাদের জন্যে আমি গর্ব অনুভব করি।"

মমতা আজ জলপাইগুড়ি ও আলিপুর দুয়ারের সমস্ত প্রশাসনিক বিভাগের কাজকর্মের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন। যে কাজগুলি এখনো শেষ হয়নি, সেই কাজগুলোকে ফেলে না রেখে দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মমতা আজ স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, "প্রশাসনিক কাজে কোনোরকম দেরি করা বরদাস্ত করা হবে না। কারোর কোনো কাজ আটকে রেখে দেওয়া চলবে না। প্রশাসনিক কাজে আরও গতি বাড়াতে  হবে। এর জন্যে বিডিও, জেলাশাসক, এসডিও এবং পুলিশকেও যথেষ্ট তৎপর হতে হবে। জেলাশাসককে সব তথ্য রাখতে হবে। এমনকি করোনা সংক্রান্ত তথ্যও রাখতে হবে। কোনোরকম অসতর্কতা বরদাস্ত করা হবে না,  কেননা  একটুখানিক অসতর্কতা  বিপদ ডেকে আনতে পারে।"

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ ঘোষণা করেন "উত্তরবঙ্গের চা বাগান শ্রমিকদের জন্যে পাকা বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে। এই প্রকল্প আগামী ৩ বছরের মধ্যেই মধ্যেই শেষ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে মোট ৩,৯৬৪টি বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে। পরে বাকিগুলোকেও বানিয়ে দেওয়া হবে।" এছাড়া মমতা বলেন, "আদিবাসী, ওবিসি ও তফসিলি সম্প্রদায়ের পরিবারের একজনের সার্টিফিকেট থাকলেই বাকিরাও সার্টিফিকেট পাবেন। রাজ্যে সরকারি কাজের জন্যে সেলফ ডিক্লারেশন সার্টিফিকেটই যথেষ্ট, এর জন্যে গেজেটেড অফিসারদের সাক্ষর দরকার লাগবে না।"

মুখ্যমন্ত্রী আজ প্রশাসনিক বৈঠকে বলেন, "সবুজ সাথী প্রকল্পের  প্রথম পর্যায়ে মোট ২ লক্ষ সাইকেল দেওয়া হচ্ছে। এরপর ধাপে ধাপে বাকিদেরকেও সাইকেল দেওয়া হবে। রাজ্যে 'জয় জোহর' প্রকল্প ও পুরোহিত ভাতার টাকা নভেম্বর পর্যন্ত দিয়ে দেওয়া হবে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই। পেনশনের টাকাও কোনোভাবে আটকে রাখা হবে না। আমি সবাইকে নির্দেশ  দিচ্ছি, কোনো কাজ ফেলে রাখবেন না, ১০০% কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে দেখতে চাই। আমি কোনো অজুহাত শুনব না। 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রাজ্যের বহু মানুষ স্মার্ট ফোন বা ইন্টারনেট - অনলাইনের বিষয়টি ঠিকমত বোঝেন না। অথচ গোটা রাজ্যেই সরকারি কাজকর্ম অনলাইনে করা হচ্ছে। তাই যাঁদের এই অনলাইনের কাজগুলো করতে বা বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে, তাঁদের জন্যেই রাজ্যে মোট ২,৮০০টি 'বাংলা সহায়ক কেন্দ্র' তৈরি করে দেওয়া হয়েছে, যেখানে সরকারি কর্মচারীরা সাধারণ মানুষকে অনলাইনে সরকারি সুবিধাগুলি পেতে সাহায্য করবে। এই পরিষেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাওয়া যাবে, এর জন্যে কেউ কোনো টাকা খরচ করবেন না।" 

Loading...

Amazon

https://www.amazon.in/Redmi-8A-Dual-Blue-Storage/dp/B07WPVLKPW/ref=sr_1_1?crid=23HR3ULVWSF0N&dchild=1&keywords=mobile+under+10000&qid=1597050765&sprefix=mobile%2Caps%2C895&sr=8-1

Pages