আজ খবর (বাংলা), কার্শিয়াং, দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ২১/০৯/২০২০ : বলা হয়েছিল, হিমালয় পাহাড়কে প্লাস্টিক মুক্ত রাখতে হবে। কিন্তু পাহাড়ি এলাকায় হাতির বিষ্ঠাই প্রমাণ করে দিচ্ছে, পাহাড়ে অবৈধভাবে কি পরিমাণ প্লাস্টিকের ব্যবহার চলছে।
গোটা হিমালয় পাহাড়কেই প্লাস্টিক বর্জিত এলাকা বলা হয়েছিল দূষণ মুক্ত রাখতে। সরকারের তরফ থেকে প্রচারের জন্যে কম অর্থ খরচ করা হয় নি বিষয়টি প্রচার করার জন্যে। কিন্তু সত্যিই কি পাহাড়কে প্লাস্টিক মুক্ত রাখা ? গিয়েছে উত্তর হল না, এখনো তা করা যায় নি। অলাভজনক বেসরকারি সংস্থা "ঐরাবত ফাউন্ডেশন'-এর তরফ থেকে বিষয়টা প্রমান করেও দেওয়া হয়েছে। ঐরাবত ফাউন্ডেশন হাতি সুরক্ষার জন্যে কাজ করে চলেছে।
ঐরাবত ফাইন্ডেশনের হাতিপ্রেমী মানুষরা দেখেছেন দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াং শহরের কাছে বামনপোখরি নামে একটি জায়গায় একটি স্থানে নিয়মিত বর্জ্য ও আবর্জনা ফেলা হয়। সেখানে আবর্জনার স্তুপ হয়ে রয়েছে। এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে প্রতিদিন প্লাস্টিকের আবর্জনায় ভরে যাচ্ছে। এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডের গায়েই অরণ্য। আর এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড জায়গাটি একটি এলিফ্যান্টস করিডোর। অর্থাৎ এই পথ ধরেই প্রতিদিন প্রচুর হাতি যাতায়াত করে।
বামনপোখরি এলাকায় যে হাতিরা নিয়মিত যাতায়াত করে, তারা ওই ডাম্পিং গ্রাউন্ডের আবর্জনা থেকে যে খাবারগুলো খাচ্ছে, তার বেশিরভাগই হল প্লাস্টিক, অর্থাৎ আবর্জনার সাথে মিশে থাকা প্লাস্টিক প্রতিনিয়ত যাচ্ছে হাতির পেটে। ওই বনপথে পড়ে থাকা হাতির বিষ্ঠায় এর প্রমাণ গিয়েছে। যা থেকে হাতিদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ঐরাবত সংগঠনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, "এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড দিয়ে প্রতিদিন প্রচুর হাতি চলাচল করে। সেই হাতিগুলো এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে যে সব আহার পাচ্ছে, তার অনেকটাই হল প্লাস্টিক, যা এখানে অবৈধভাবে ফেলে যাওয়া হচ্ছে। আমরা হাতিদের বিষ্ঠার নমুনা সংগ্রহ করেছি, সেগুলোকে আমরা ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াতে পাঠাবো, যাতে এই ব্যাপারে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করে কেন্দ্র সরকার। আমরা এরপরব থেকে এই জায়গায় নজরদারিও চালাব যাতে এখানে কেউ এভাবে প্লাস্টিক ফেলতে না পারে। আর যেন কোনো হাতি এখানে মারা না যায় প্লাস্টিক খেয়ে। "
সৌজন্যে ANI