আজ খবর (বাংলা), কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ২৪/০৯/২০২০ : মহালয়া পার হয়ে গিয়েছে। মা আসছেন মর্তে। তাই রাজ্য জুড়ে দুর্গা মণ্ডপগুলি একটু একটু করে সেজে উঠছে। করোনা আবহে শারদোৎসব কিভাবে পালন করা হবে তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন বাঙালিরা। আজ রাজ্য সরকার করোনা আবহে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে গাইড লাইন বেঁধে দিল।
আজ কলকাতার পূজা কমিটিগুলির সাথে বৈঠকে বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে আসন্ন দুর্গাপূজার গাইড লাইন তৈরি করে দিলেন। দুর্গাপূজা নিয়ে রাজ্য সরকারের গাইডলাইন -
মন্ডপ হবে উন্মুক্ত, যাতে হাওয়া বাতাস চলাচল করতে পারে।
সামাজিক দূরত্ব পালন করতে হবে।
প্রত্যেক দর্শকদের জন্যে পূজা প্রাঙ্গনে মার্কিং করে দিতে হবে। প্রত্যেক দর্শককে আলাদা আলাদাভাবে সেই মার্কিং মেনে লাইন দিয়ে মণ্ডপে প্রবেশ করতে হবে।
প্রত্যেক দর্শকদের হাতে হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার দিতে হবে।
প্রত্যেকে দর্শককে মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবীর সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।
এবছর দুর্গাপূজার সময় বিচিত্রানুষ্ঠানের আয়োজন এড়িয়ে যেতে হবে।
অঞ্জলি, ভোগ বা সিঁদুর খেলার সময় নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
যে সব সংস্থা শারদোৎসবের পুরস্কার দেন, তাঁদের কমপক্ষে দুটি গাড়ি করে যাতায়াত করতে হবে। তাঁরা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত মণ্ডপে মন্ডপে ঘুরতে পারবেন।
এবছর বিশ্ববাংলা পুরস্কার দেওয়া হবে ভার্চুয়ালভাবে।
প্রত্যেক মণ্ডপে Public Address System রাখতে হবে।
নিয়ম ও বিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জন করতে হবে। বিসর্জনে এবার আর কোনো শোভাযাত্রা করা যাবে না। এমনও হতে পারে যে, বিভিন্ন এলাকার জন্যে বিসর্জনের আলাদা আলাদা করে দিন ঠিক করে দিল রাজ্য সরকার।
প্রত্যেক পূজা মণ্ডপে রাজ্যের করোনা হেল্প লাইন নম্বর ভালভাবে এবং প্রকাশ্যে প্রদর্শন করতে হবে।
পূজার অনুমতি দেওয়া শুরু হবে অক্টবর মাসের ২ তারিখ থেকে।
প্রত্যেক পূজা কমিটিকে রাজ্য সরকার ৫০,০০০ টাকা করে অনুদান দেবে।
এই বছর দমকলের চার্জ দিতে হবে না। পুরসভার চার্জও দিতে হবে না. ইলেকট্রিক বিলের ক্ষেত্রে ৫০% ছাড় দেওয়া হবে।
পুজো শুরুর প্রারম্ভিক অনুষ্ঠান ছোট করে করতে হবে। তৃতীয়া থেকে একাদশী পর্যন্ত সবার জন্যেই উন্মুক্ত রাখতে হবে পূজা মণ্ডপগুলিকে।
১০ বছরের বেশি সময় ধরে পুজো করছে এমন কমিটিগুলিকেই শুধু এ বছর পুজো করার অনুমতি দেবে পুলিশ।
এই বছর পূজা কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হবে না। আগামী বছর আরও বড় করে করা হবে।