আজ খবর (বাংলা), কলকাতা ও জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ০৪/০৯/২০২০ : 'পশ্চিমবঙ্গে কোনো গণতন্ত্র নেই' এই অভিযোগ তুলে আজ রাজ্যের সর্বত্র এসডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে রাজ্য বিজেপি।
আজ সকাল ১১টা থেকেই বিজেপি নেতা কর্মীরা 'গণতন্ত্র বাঁচাও, বাংলা বাঁচাও' শীর্ষক বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করছেন গোটা রাজ্য জুড়ে। আজ হুগলি জেলায় শ্রীরামপুরে প্রতাপ ব্যানার্জির নেতৃত্বে, আসানসোলে রাজু ব্যানার্জির নেতৃত্বে , রথীন্দ্র বসুর নেতৃত্বে বালুরঘাটে, এমনকি কার্শিয়াং শহরেও এসডিও ও ডিএম অফিসের সামনে বিজেপি নেতারা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ হাওড়া এবং কলকাতার মেয়ো রোডে জনসভায় . বক্তব্য রেখেছেন। বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বক্তব্য রেখেছেন বিজেপি নেতা মিকুল রায়ও।
আজ দিলীপ ঘোষ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, "রাজ্যে এখন কোনো গণতন্ত্র নেই, নেই কোনো আইনের শাসন। পুলিশকে আমার 'বেচারা' বলতে ইচ্ছে করে। যে পুলিশ কর্মীরা কাজ করতে চাইছেন, তাঁরা কাজ করতে পারছেন না। এক শ্রেণীর পুলিশ শাসক দলের হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদের নাম আমরা লিখে রাখছি। রাজ্যে পরিবর্তন হবেই। তখন কি করবেন এই পুলিসহ কর্মীরা ? এক বছরের মধ্যেই তো আর তাঁদের অবসর নিতে হবে না ? এই জন্যেই এঁদেরকে 'বেচারা'' বলতে ইচ্ছে করছে। এক শ্রেণীর পুলিশের কাজ হচ্ছে বিজেপি কর্মীদের আটক করা, বিজেপি কর্মীদের হেনস্থা করা, মিথ্যা কেস দিয়ে জেলে পুড়ে দেওয়া। পুলিশের আর কোনো কাজ নেই।"
দিলীপ ঘোষ আজ মেয়ো রোডের মঞ্চ থেকে বলেন, " নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যালট পেপারে ভোট করার কথা বলছেন। তিনি নিজে কিন্তু ইভিএম মেশিনেই নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় এসেছেন। এখন তিনি আবার ইভিএম-এ আপত্তি জানাচ্ছেন। এবারের নির্বাচন ইভিএম-এই হোক বা ব্যালট পেপারে, মানুষ কিন্তু শাসক দলকে জবাব দিয়ে দেবে। নবান্ন থেকে গঙ্গা বেশি দূরে নয়, নবান্নে বিসর্জনের সুর বাজছে।"
বিজেপি নেতা রাজু ব্যানার্জি আজ বলেছেন, "বীরভূমের সবকটি আসন এবার বিজেপিই পাবে। এবার আর অনুব্রত মণ্ডল কোনো ফ্যাক্টর হবে না। শাসক দলের সদস্যরাই এখন আর অনুব্রতর কথা মানতে চাইছে না। এবার আর দাদাগিরি করে আর লাভ হবে না। বীরভূমের কেষ্ট এখন আর ফাটাকেষ্ট নেই, এখন ফুটো কেষ্ট হয়ে গিয়েছে."