ভারতের কাছে সবরকমভাবে নাস্তানাবুদ হয়ে চীনকে বার বার বৈঠকে বসতে হচ্ছে - আজ খবর । দেখছি যা লিখছি তাই । ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম

Sonar Tori


ভারতের কাছে সবরকমভাবে নাস্তানাবুদ হয়ে চীনকে বার বার বৈঠকে বসতে হচ্ছে

Share This

 

ভারতের কাছে সবরকমভাবে নাস্তানাবুদ হয়ে চীনকে বার বার বৈঠকে বসতে হচ্ছে

আজ খবর (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত, ১৯/০৯/২০২০ : পূর্ব লাদাখে ভারত-চীন সীমান্ত সমস্যা চলার মধ্যেই গতকাল চীনের একটি দল ভারতের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছিল। 

চীনের যে দলটি ভারতের সাথে বৈঠকে বসেছিল, সেই দলে ছিলেন চীন সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এবং চীনা লাল  ফৌজের বিশিষ্ট কমান্ডাররা, যাঁরা চীন সরকারের হয়ে যে কোনো রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। গত এপ্রিল-মে মাস থেকে দুই দেশের সীমান্ত সংঘাত নিয়ে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল, যেখানে সীমান্তের বেশ কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেন ভারতীয়রা। যথেষ্ট গুরুত্ত্ব দিয়ে শোনার পর সেই সমস্যাগুলির বিষয়গুলি  নিয়ে চীন চিন্তাভাবনা করবে বলে জানা  গিয়েছে। তবে শুধুই পূর্ব লাদাখ নিয়ে  নয়, কথা হয়েছে ভারত-চীনের অন্যান্য সীমান্তগুলি নিয়েও।

ভারত এই মুহূর্তে সীমান্তের জায়গায় প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করেছে। সীমান্ত অঞ্চলে ভারত এই মুহূর্তে ৪৫,০০০ ট্রুপ সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। লাদাখ সীমান্তে ভারত বিভিন্নরকম অত্যাধুনিক অস্ত্র-শস্ত্র এবং মেশিনারি নিয়ে গিয়ে রেখেছে। যে বোফর্স কামান কার্গিল যুদ্ধে পাকিস্তানের ত্রাস হয়ে উঠেছিল, সেই বোফর্স কামানগুলিকেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে সীমান্তে। ইন্ডিয়ান আর্মি এবং এয়ার ফোর্স এমন ভাবে সীমান্তে কাজ করছে, যাতে অস্ত্র থেকে শুরু করে ওষুধপত্র এবং খাদ্য দ্রব্য সবকিছুই বিনা বাধায় সময়মত পৌঁছে দেওয়া যায় সীমান্ত এলাকায়।

আর কিছুদিন পরেই শীতকাল এসে যাবে। এখন থেকেই লাদাখের পারদ নিম্নমুখী। আর কিছুদিন পর থেকেই লাদাখ অঞ্চল বরফের নিচে চলে যাবে, সেই সময় যাতে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের কাজ করতে কোনোরকম সমস্যা না হয় , তার ব্যবস্থা এবং আয়োজন ইতিমধ্যেই সেরে রেখেছে ভারত। কিন্তু এখনকার দিনে যুদ্ধ শুধুমাত্র অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হয় না। তার সাথে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং জোরালো কূটনীতিও চাই। প্রযুক্তির দিক থেকে চীনকে রীতিমত টক্কর দিচ্ছে ভারত। সেটা যেমন ভূপৃষ্ঠে, তেমনই মহাকাশেও। যে বিষয়টা যথেষ্ট চিন্তায় রেখেছে চীনকে। আর কূটনৈতিক দিক থেকে চীনকে কয়েক যোজন দূরে ফেলে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে ভারত। আজ চীনের মত দেশ যে বার বার ভারতের সাথে বৈঠকে বসে সমাধানসূত্র বের করতে চাইছে, সেটাই এই পিছিয়ে থাকার প্রমাণ। 

এই মুহূর্তে বিশ্বের প্রায় সব অস্ত্রধর এবং শক্তিশালী দেশ ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। সম্ভবত আর কিছুদিনের মধ্যেই আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপান এই চারটি দেশ মিলে  এমন  এক চুক্তিতে সাক্ষর করতে চলেছে, যেখানে এই চার দেশ একসাথে বসে যুদ্ধের কৌশল তৈরি করতে পারবে। হয়ত একে অপরের বাহিনীও ব্যবহার করতে পারবে। আর তা যদি হয়, তাহলে চীনের সামনে সমূহ বিপদ ঘনিয়ে আসতে  চলেছে। ১৯৬২ সালের পর থেকে ভারত যে নিজেদের শক্তি এতটা বৃদ্ধি করে নিয়েছে, তা ঘুনাক্ষরেও ভাবতে পারেনি চীন। শুধু তাই নয়, সীমান্তে কোনো ঘটনা ঘটলেই যেভাবে ভারতের অভ্যন্তরেও মানুষের মধ্যে একটা স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, সেটাও ভাবাচ্ছে চীনকে। যে কারণে চীনের এতগুলো মোবাইল এপ্লিকেশন এবং পণ্য ভারত নিষিদ্ধ করে দিলেও ভারতের সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো হেলদোল দেখা যায় নি, উল্টে তাকে সমর্থন জানিয়েছিল ভারতবাসী। যার ফলে চীনকে ভয়ঙ্কররকম আর্থিক ক্ষতির  মুখে পড়তে হয়েছিল।


Loading...

Amazon

https://www.amazon.in/Redmi-8A-Dual-Blue-Storage/dp/B07WPVLKPW/ref=sr_1_1?crid=23HR3ULVWSF0N&dchild=1&keywords=mobile+under+10000&qid=1597050765&sprefix=mobile%2Caps%2C895&sr=8-1

Pages