চরম হতাশায় পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ীরা - আজ খবর । দেখছি যা লিখছি তাই । ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্যতম শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম

Sonar Tori


চরম হতাশায় পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ীরা

Share This
 রাজ্য

আজ খবর (বাংলা), কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ১৪/০৯/২০২০ : আমফান  এবং করোনা ভাইরাস রীতিমত মেরুদন্ড ভেঙে দিয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পকে। দিশেহারা পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
করোনা ভাইরাসের বিশ্বব্যাপী দাপট গোটা পৃথিবীর পর্যটন ব্যবসার ওপর ব্যাপকভাবে থাবা বসিয়েছিল। ভারতে করোনা মহামারীর মোকাবিলায় দীর্ঘদিন ধরেই লক ডাউন চলেছে। গরমের ছুটিতে পর্যটন মরসুম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ীরা আশা করেছিলেন, এবছর পুজোর সময়ে এবং শীতের সময় সেই ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা হলেও পুরন করে নেওয়া যাবে। কিন্তু দেশে এখনো সেভাবে রেল পরিষেবা চালু হয় নি। কবে হবে তাও কেউ বলতে পারছে না। তাই পর্যটন ব্যবসা এখনো পর্যন্ত অনিশ্চিত হয়ে রয়েছে এই রাজ্যে।
এদিকে পর্যটন ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল অসংখ্য মানুষ। কেউ হয়ত হোটেল চালান, কেউ গাড়ি ভাড়া দেওয়ার কাজ করেন, কেউ গাড়ি চালিয়ে রোজগার করেন, কেউ ট্র্যাভেল এজেন্সি চালান। কেউ হোটেল বুকিং করেন, কেউ হয়ত এয়ার টিকিট বুক করেন। পর্যটনকেন্দ্রে কেউ রেস্টুরেন্ট চালান, কেউ গাইডের কাজ করেন, এমনকি সমুদ্র উপকূলে কেউ হয়ত পর্যটকদের জন্যে ডাব অথবা চায়ের দোকান চালান।  কিন্তু এখন সবকিছুই বন্ধ, এবং দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ। কবে যে সবকিছু ফের স্বাভাবিক হবে তা কেউই বলতে পারছেন না। একটা অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্প। 
অন্যান্য রাজ্যে কিছু পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে তাও হোটেল, মন্দিরগুলি খুলতে শুরু করেছে। যেমন হিমাচল প্রদেশে , কোদাইকানালে, গোয়ায়, দিল্লীতে। কিন্তু আমাদের রাজ্যে দীঘা, সুন্দরবন, ডুয়ার্স, দার্জিলিং, কালিম্পঙ এইসব জায়গায় কবে সবকিছু স্বাভাবিক হবে তা সকলেরই অজানা। 

এর মধ্যে আবার আমফান ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ উপকূলভাগকে লন্ডভন্ড করে দিয়ে গিয়েছে। মে মাসের ২০ তারিখের সেই বিধ্বংসী সুপার সাইক্লোন ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে উপকূলের পর্যটনকেও। বিশেষ করে দীঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শংকরপুর এবং সমগ্র সুন্দরবনের পর্যটন  শিকেয়  উঠেছে। এই অঞ্চলের পর্যটন ব্যবসায়ীরা এখন রীতিমত প্রমাদ গুনছেন। শীতকালের  সময়টুকুই যা পর্যটকের দেখা মেলে সুন্দরবন অঞ্চলে। কিন্তু এ বছর যা পরিস্থিতি তাতে সুন্দরবন এই বছরের শীতকালীন মরসুমে কোনোরকম ব্যবসা করতে পারবে না বলে মানে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। অথচ সুন্দরবনের বহু মানুষ এই মরসুমে পর্যটকদের আশায় পথ চেয়ে রয়েছেন। 
দীঘাতেও ছবিটা একই রকম। হোটেলগুলো বন্ধ হয়ে রয়েছে, ফলে হোটেলের কর্মাচারীরা হারিয়েছেন চাকরি। দিঘার ভ্যান চালকরা পাচ্ছেন না কোনো যাত্রী। ডাবওয়ালারা অন্য জীবিকা খুঁজে নিতে বাধ্য হয়েছেন। যাঁরা হয়ত হাঁটু পর্যন্ত প্যাণ্ট গুটিয়ে সমুদ্রে নেমে পর্যটকদের ছবি তুলতেন, তাঁরাও জীবিকা হারিয়েছেন। চায়ের দোকানগুলোর ঝাঁপ বন্ধ রয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্যে। যারা বিচের ওপর ঘোড়া বা উঠ নিয়ে আসতেন তাঁদের কোনো খোঁজ নেই। দার্জিলিঙের ম্যালে যে ঘোড়াওয়ালারা ছিলেন, একই অবস্থা তাঁদেরও। সব মিলিয়ে ভয়ঙ্কর এক অন্ধকার যেন গ্রাস করেছে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পকে। কিভাবে সেই অন্ধকার কাটিয়ে ফের আলোর মুখ দেখা যাবে, সেই দিশা এখনো পর্যন্ত দিতে পারছে না কেউই। 
Loading...

Amazon

https://www.amazon.in/Redmi-8A-Dual-Blue-Storage/dp/B07WPVLKPW/ref=sr_1_1?crid=23HR3ULVWSF0N&dchild=1&keywords=mobile+under+10000&qid=1597050765&sprefix=mobile%2Caps%2C895&sr=8-1

Pages